১০ টি ওষুধেরগাছের উপকারিতা ১০ টি ভেষজ গাছের উপকারী
১০ টি ওষুধ গাছের উপকারিতা ভেষজ গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই? তোমরা কি সব জায়গায় বসবাস করি বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলগুলোতে দেখা যায় বাড়ির আশপাশ দিয়ে অসংখ্য গাছপালা ঝোপঝা হয়ে থাকে জঙ্গল হয়ে থাকে বা যেসব জায়গায় গাছপালা বেশি জন্য এসব জায়গাগুলোতে ওষুধি গাছ বেশি দেখা যায় ।অথচ আমরা অনেকেই জানি এসব জঙ্গল ঝোপঝাড়ে জন্মায় অনেক ঔষধ গাছ ।আজকে আমি আপনাদেরকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানাবো ১০ টি ওষুধি গাছের নাম এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ।
এর সাথে সাথে আমি আপনাদেরকে জানাবো দশটি ভেষজ গাছের নাম এবং এর উপকারিতা ।এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন দশটি শুধু গাছের নাম উপকারিতা 10 টি ভেষজ গাছের নাম এবং উপকারিতা সম্পর্কে ।চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে ওরা আমার আলোচনা শুরু হবে ।
১০ টি ওষুধ গাছের নাম ও উপকার
আমাদের বাসার চারপাশে গাছপালা লতা পাতা জঙ্গল জন্মায় এগুলোর মধ্যে অনেক গাছ বা ভেষজ জন্মায় কিন্তু আমরা না জানার ক্ষেত্রে এই গাছগুলোকে জঙ্গল আগাছা মনে করে কেটে ফেলে দেয় । যারা জানি তারা হয়তো যত্ন করে রাখি ।
আমরা না জানার ক্ষেত্রে যে সমস্ত উপকারী গাছগুলো ঔষধি গাছগুলো কেটে ফেলি আগাছা মনে করি জঙ্গল মনে করে কিন্তু কাজগুলো অনেক গুণাবলী রয়েছে ।এগুলো সম্পর্কে যদি আমরা জানি তাহলে আমাদের আফসোস হবে যে কেন আমরা না জানার কারণে অবুঝের মত বাড়ির আশপাশে জঙ্গল কেটে ফেলেছি ।
আপনারা হয়তো জানেন না এই ঔষধি কাজগুলো আমাদের শরীরে নানান ধরনের রোগ হয়ে থাকে এই লোকগুলো নিরাময়ের ঔষধ হিসেবে কাজ করে । প্রাচীন যুগ থেকেই গবেষণার মাধ্যমে এই এই গাছগুলোর উপকারিতা প্রমাণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা ।শুনুন তাহলে নিচে এই ঔষধি গাছগুলো দশটি উপকারিতা জেনে নিন ।
আকুন্দ গাছ
এই গাছটি সকলের কাছে অতি পরিচিত এবং ঔষধি গুনাগুনের সমৃদ্ধ একটি গাছ । আকুন্দ গাছের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে । আকুন্দ ব্যথা দূর করে এবং চুলের জন্য খুবই ভালো কাজ করে । গাছে বা দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে আকন্দ পাতা রস বাড়ি বা দাঁতে লাগালে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। এমনকি বাতের ব্যথা সারাতে খুবই উপকার ।
হাঁপানি রোগীদের জন্য আকুন্দ খুবই উপকারী এছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিক রাতে বুকে সর্দি বা কফ বসে বলে সুন্দর খুবই ভালো কাজ করে । এখানে একটা পদ্ধতি আছে সেটা হলো আকুন্দর পাতায় তোর সাথে ভালো করে লাগিয়ে আগুনের শেধ দিয়ে গলা বা বুকে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে এভাবে বেশ কয়েকবার পড়তে হবে তাহলে উপ কয়েকদিনের মধ্যেই বুকে কফ বসা বা সর্দি বসা রোগ ভালো হয়ে ।
লজ্জাবতী গাছ
অনেকেই জানি লজ্জাবতী একটি ওষুধ দিলাম । তাছাড়া বেশ কয়েক ধরনের নাম রয়েছি যেমন অঞ্জলি কারিকা লাজুক লতা বলে থাকে । এই গাছটি প্রাচীনকাল থেকে মানবদেহের বিভিন্ন রোগ সারাতে কার্যকারী এবং উপকারী । আমরা যারা ডায়রিয়া অথবা আমাশায় আক্রান্ত হয়ে থাকি তাদের রোগ সারাতে এই লজ্জাবতী গাছ খুবই উপকার ।
ডায়রিয়া ও আমাশাই রোগ হয়েছে এমন ব্যক্তিকে লজ্জাবতী গাছের শিকড় বেটে ফলে দ্রুত উপকারিতা পাওয়া যায় । এছাড়া লজ্জাবতী গাছের পাতা এগুলো বেটে মানবদেহের শরীরের ক্ষত সারাতে খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে । আরো বেশ কিছু উপকারিতার মধ্যে এই গাছের পাতা শরীরে ঘা হলে কেটে লাগালে হ্যাঁ ভালো হয়ে যাবে ।
তথ্য মোতাবেক লজ্জাবতী গাছের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে কানে রক্ত পড়া দূর করে আলসারের জন্য খুবই উপকারী
দূর করা কাশি হলে এই গাছের রস খুবই উপকার । বাতের ব্যথা অথবা হাড়ের ব্যথা হলে এই গাছে জল বেঁটে ব্যথায় স্থানে দাঁড়ালে উপকার পাওয়া যায় ।
লজ্জাবতী গাছের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না । এই গাছের পাতা এবং সেকড় উজ্জ্বল করার জন্যই কার্যকর । তোকে ব্যবহার করার পদ্ধতি হলো এই গাছের পাতা অথবা শেখর টেস্ট করে তোকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে কিছুদিন করলে দেখবে চেহারার উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে ।
থানকুনি পাতা
থানকুনি গাছ মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী ঔষধি গাছ ।এই গাছের পাতার রস আমাদের জন্য অনেক উপকার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এই গাছটি নরম মাটিতে বেশি দেখা যায় এই গাছের পাতা কাণ্ড শিকড় মানবদেহে ওষুধ হিসেবে কাজ করে । এই গাছ আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মস্তিষ্কের মধ্যে কোষ গঠনের জন্য উপকারী ।
থানকুনি পাতার বিশেষ গুণ হলো শীতকালে আমাদের ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হয়, অথবা মুখের মধ্যে ঘা হয় থানকুনি পাতা পাত্রে অল্প পানি নিয়ে সে পানিতে ঢাল কোন কথা দিয়ে পানি বরণ করে সেই পানি গড়বড়ানি করলে গলা ব্যথা এবং মুখে ঘা ভালো হয়ে । এই পাতা নিয়মিত খেলে আমাশায় ভালো হয় যদি কারো মুখে যন্ত্র থাকে বা কথা বলার সময় কথা আটকে যায় তবে এই পাতা নিয়মিত খাওয়ালে এই সমস্যাটা অনেকটাই দূর হয় তবে ।তাছাড়া চুলের জন্য চেহারার উজ্জ্বলতার জন্য খুবই কার্যকারী এই থানকুনি ।
রিফিউজি লতা
এই রিফিউজি লতায় অনেক গুনাগুন রয়েছে । এই লতা সমুদ্রে পাওয়া যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকারী এই গাছটির সমুদ্র ছাড়াও এসব জায়গায় বেশি বন জঙ্গল রয়েছে সেখানে পাওয়া যায়। শরীরের কাটা জায়গায় অথবা কত স্থানে এর পাতা বেটে লাগাই দিলে ক্ষতস্থান বা কাঁটা স্থান সহজে শুকিয়ে যায় ।
মানবদেহে চুলকানি পচরা দাউদ ইজমা এগুলো দেখা দিলে রিফিউজি লতা খুবই উপকারী । এমনকি পেটে ব্যথা প্রচন্ড ব্যথা হলে এই গাছের শিকড় ও পাতার রস পেটে খাওয়ালে পেট ব্যথা সেরে যায় । ম্যালেরিয়া জ্বরের সারাতে কবি কার্যকর
অর্জুন গাছ
অর্জুন গাছ আমাদের সকলের কাছে পরিচিত গুণ সম্পূর্ণ একটি গাছ । অর্জুন গাছ শরীরে রোগ নিরাময়ের খুবই উপকারী অর্জুন গাছ হৃদরোগের ব্যথা কমায় শরীরের অক্ষমতা দূর করতে খুবই কার্যকারী তাছাড়া এই গাছের পাতা রস মুচকে যাওয়া হাড়ের জন্য খুবই উপকারী । তাছাড়া এই গাছে অনেক অসুধের উপকারিতা রয়েছে ।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় এমন গুণ মানুষ নাই যে চেনেনা আর আমাদের প্রতিটা এলাকাতেই কমবেশি সব জায়গাতে কোন না কোন বাসায় তুলসীর গাছ পাওয়া যাবে । যদি কোন রোগ নিরাময় করার জন্য তুলসির পাতা প্রয়োজন পড়ে সহজেই তুলসী গাছ যে কোন ভাষাতে পাওয়া যায় । তুলসির পাতা বা পাতা রস খুবই উপকার । যদি কাশি অতিমাত্রায় বেড়ে যায় তুলসির পাতার রস বেটে খাওয়ালে কাশি কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায় । তুলসির পাতা সৌন্দর্য বা রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে থাকে ।
তুলসির পাতা পেটে রস করে খেলে কিডনি ভালো থাকে এবং কিডনিতে পাথর হয় না । কিডনিতে পাথর হয়ে যায় তাহলে তুলসির পাতা প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট মাস ছেলে পাথর ভালো হয়ে যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সে অনুযায়ী কাজ করতে । তুলসির পাতার রস খেলে রক্তে শর্করা ঠিক রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাথায় নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য । মানবদেহে রক্তে খারাপ কোলেস্টর গুলো নিরাময় করে ডায়াবেটিসের জন্য তুলসী পাতার রস খুবই কার্যকারী।
তুলসির পাতা ক্যান্সারের জন্য খুবই ভালো কাজ করে এবং সর্দি কাশি জ্বর ঠান্ডা লাগা তুলসী পাতা বস বেটে নিয়মিত খাওয়ালো খুব দ্রুত সেরে যায় ।সর্দি কাশি জ্বর হলে তুলসির পাতার রসের সাথে মধু মিক্স করে খেতে দাও তাহলে জ্বর সর্দি কাশি দ্রুত ভালো ।
বিলম্বি ফল
এই এই ফল আমরা অনেকেই চিনি না আমার অনেকেই চিনি এ ফল দেখতে লেবুর মত ।এই ফলটি ওষুধে গুণসমৃদ্ধ ভরা । এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এর ফলটির স্বাদ অনেকটা ঘাবরাঙ্গার মত । ঠান্ডা জনিত রোগ হলে এ ফলটি খুবই ভালো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ঠান্ডা জনিত রোগ ভালো করছে । গবেষণা দ্বারা কি ফলটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল অন্যান্য অনেক উপাদান রয়েছে ।
স্বর্ণলতা উদ্ভিদ
এর মাধ্যমে জেনে নিয়ে স্বর্ণলতা অদ্ভুত সম্পর্ক । এটি একটি পরজীবী উদ্ভিদ অর্থাৎ অন্য গাছের উপরে জন্ম নেই উদ্ভিদ । এই উদ্ভিদে আবার চোষো অঙ্গ রয়েছে যার দ্বারা সে অন্য উদ্ভিদ থেকে বা যে উদ্ভিদের জন্ম নেয় সেই উদ্ভিদ থেকে খাবার গ্রহণ করে । এই উদ্ভিদের অনেক ঔষধি গুনাগুন হয়েছি এই ওষুধের গোড়া কৃমি ধ্বংস করতে কাজে লাগে
মুখে ঘা হলে এসব কি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে গরম পানির সাথে গড় গড় সহ কুলি করতে হয় তাহলে মুখের ঘা ভালো হয়ে যায়। ।
তাছাড়া এই উদ্ভিদটি জন্ডিস হলে নিয়মিত বেটে রস করে খাওয়ালে জন্ডিস ভালো হয়ে যায় এর মধ্যে এ ছাড়া আরও ঔষধি গুনাগুন রয়েছে তাছাড়া আগে শোনা গেছে যে এই গাছের আরেকটি গুণ রয়েছে সেটা হল জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয় এজন্য কোন গর্ভবতী নারী খাওয়ানো থেকে বিরত থাকে ।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা এই সম্পর্কে এমন কেউ নাই যে জানে । এটার অনেক ওষুধ গুনাগুন ও ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে । যেটা জানলে আমাদের চোখ কপালে উঠে যাবে । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে চর্বি কমাতে সাহায্য করে মানবদেহে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে । রক্তে থাকা কোলে কমাতে সাহায্য করে ।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য২০ টা ফল খেতে বাধা নেই
অ্যালোভেরা সেবন করলে গ্যাস দূর হয় ভজন শক্তি বৃদ্ধি পায় এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । অ্যালোভেরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে । ওজন কমাতে শরীরের যেকোনো স্থানের ব্যথা সারাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই অ্যালোভেরা জেল ব্যথায় স্থানে মালিশ করতে হবে । শরীরে ক্ষতিকারক জীবাণু অথবা ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে ।
পাথরকুচি
আপনি আমরা সকলেই পাথরকুচি সম্পর্কে জানি এই পাথরকুচি ভেষজ চিকিৎসার জন্য একটি অন্যতম গুণসমৃদ্ধ উপকারে একটি গাছ । এই পাথরকুচি গাছ কি কিডনির সমস্যার সাথে সাথে অন্যান্য সমস্যা সমাধানের গুণ রয়েছে । পাথরকুচি গাছ কিডনিতে পাথর ও গলগন্ড রোগ সারাতে ভূমিকা পালন করে । সর্দি কাশি অথবা পেট ফাঁপার জনিত রোগ হলে পাথরকুচির পাতার রস সেবন করলে ভালো হয়ে যায় । পাইলস যে কোন পেটের সমস্যা বা পায়খানার সমস্যা থাকলে এটা খুব ভালো কাজ করে । বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের শরীর থেকে বিষ মুক্ত করতে এই পাতার রস খুবই কার্যকারী । চেহারাই ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে পাথরকুচি খুবই ভালো কাজ করে ।
দশটা ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও উপকারিতা
দশটা ভেষজ উদ্ভিদের নাম ও এর উপকারিতা সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে এই পোস্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
বন ধনে
বন ধনে অনেকেই চেনে আবার চেনেনা এই ভেষজ উদ্ভিদ অনেক উপকারী । পেটের ব্যথা দূর করে এবং শরীরে ঘা বা ক্ষতস্থানে লাগালে ভালো হয়ে যায় ।
ধুতরা গাছ
ধুতরা গাছ সকলের কাছে পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে এই গাছের অনেক গুণাগুণ রয়েছে । যাদের শ্বাসকষ্ট ভাই তোমার হয়েছে তাদের জন্য এই ধুতরা গাছের পাতা খুবই উপকারী । সমস্যা থাকলে এটি অনেক উপকারী এবং শরীরে শক্তি যোগায় ।মানবদেহের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই ধুতরা গাছ থেকে ।
রোজমেরী
রোজমেরি গাছ আমরা অনেকেই চিনি গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি । এই রোজমেরি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । এটি মানুষ মানুষকে টেনশন বা ডিপ্রেশনে ভালো কাজ করে চেহারা উজ্জ্বল চেহারা থেকে ব্রণের দাগ বা বিভিন্ন দাগ দূর করে । শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে এবং রক্তনালীগুলোকেও সুস্থ রাখে ।
দুবড়া ঘাস
দুবড়া ঘাস এমন কেউ নাই যে চেনে না এর গুন সম্পর্কে সবাই জানে শরীরের ক্ষতস্থান বা কেটে যাওয়া স্থানের রক্ত বন্ধ করার জন্য দুবরাজ ঘাস ব্যবহার করা হয় । দুবড়া ঘাস বেটে রস কাটা স্থানে বেঁধে দিলে সেই স্থান শুকিয়ে ভালো হয়ে যায়
চর্ম সমস্যার জন্য দুবরাজ ঘাস ব্যবহার করা হয় ।
জবাফুল গাছ
জবা ফুল সম্পর্কে আমরা সবাই জানি প্রতিটা এলাকায় কম বেশি সব বাড়িতেই যাওয়া ফুলের গাছ রয়েছে । জগা গাছ বাড়ির শোভা বারায় জবা গাছের প্রচুর পরিমাণে ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে এবং উপকারিতাও রয়েছে । জবা ফুল গাছে পেটের ব্যথা এবং জন্ডিস নিরাময়ের উপকারিতা রয়েছে । বিশেষ করে নারীদের স্রাব জনিত সমস্যা দূর করে ।
বাসক পাতা
বাসক পাতা খুবই কার্যকরী এবং মূলসম্পন্ন একটি গাছ জামানক দেশের জন্য খুবই উপকার । এটি ঠান্ডা জনিত সর্দি কাশি জ্বর ইত্যাদি সারাতে খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করে । তা ছাড়া কোন মানুষ যদি প্রতিদিন বাসক পাতার রস খায় তাহলে শ্বাসনালী ঠিক থাকে ।
কালো কেশী
এর অনেকগুলো ভেষজ গুণ রয়েছে সবচাইতে বড় গুণ হচ্ছে চুল কালো করে চুল পড়া বন্ধ করে তাছাড়া মহিলাদের যদি মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে তো সেই সমস্যা দূর করে কালোকেশী ।
তোকমা ফল
আমরা সকলেই তোকমা সম্পর্কে জানি এর ভেষজ গুণাবলী সম্পর্কে আমরা জানি । তোকমা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়ায় পেট ফাঁপা দূর করে তার সাথে সাথে ডায়াবেটিসের মতো কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ।
চিরতা পাতা
চিরতা সম্পর্কে কে না জানে চিরতার রস যে কতটা তিক্ত আমরা সকলেই জানি । আমার জানামতে যখন কারো প্রচন্ড জ্বর সর্দি-কাশি সহজে ভালো হতে চাই না কোন ওষুধে কাজ করে না তখন চিরতা পাতার রস খাওয়ানো হয় । এবং অতিরিক্ত জ্বর সর্দি কাশি শরীর ব্যথা এগুলো নিমিষেই ভালো হয়ে যায় । চিরতা পেট ব্যথা এবং হজমেও কাজ করে ।
নিম গাছের পাতা
নিমের কথা ছাল এবং শিকড় কতটা উপকারী আমরা অনেকেই জানি । নিম পাতার রস খেলে ডায়াবেটিস নিরাময় করে এবং যাদের হয়নি তারা সতর্কতার জন্য নিম পাতার রস খেতে পারেন । বিভিন্ন পক্স বা স্কিনের সমস্যা থাকলে অথবা চুলকানি থাকলে নিমের পাতা বেটে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। মিমের পাতার ডাল দিয়ে মেসওয়াক করলে দাঁতের ব্যথা মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় । নিমের পাতা বেটে ক্ষতস্থানে বা খাম হয়ে যাওয়া স্থানে বেটে লাগালে কত স্থান ভালো হয়ে যায় ।
শেষ কথা
পরিশেষে এই কথা বলে শেষ করবো যে আমাদের চারপাশে আমাদের উঠানে বাড়ির আনাচে-কানাচে প্রচুর ঔষধি গাছ আছে। যেগুলো আমরা জানি না । সেই জন্য আমরা আমাদের আশপাশের পরিবেশে আগাছা গুলো কাটার আগে বুঝেশুনে কাটবো কেননা এ সমস্ত গাছ যত দিন টিকে থাকবে ততদিন আমরা উপকার পেয়ে যাব । আর এসব গাছগুলো যদি না টেকে, আগাছা মনে করে আমরা কেটে ফেলে দিই তাহলে আমাদেরই ক্ষতি ।
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ভেষজ উদ্ভিদ সম্পর্কে যা জানলাম তা অবশ্যই আমাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে বেশি বেশি শেয়ার করব ধন্যবাদ ।
ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ভুলের উর্ধ্বে কেউ নাই আমাদেরকে বেশি বেশি লিখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url