ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য২০ টা ফল খেতে বাধা নেই
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশ ধরনের ফল সম্পর্কে যে ফলগুলো খেতে কোন বাধা।যারা জানেন না যে ডায়াবেটিস রোগীরা কোন ধরনের ফল খেতে পারবে কোন ধরনের ফল খেলে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।এমনকি যাদের ডায়াবেটিস হয় তারাও সঠিকভাবে জানে না যে তারা কোন ফল গুলো খেতে পারবে। এই ফলগুলো খেলে ডায়াবেটিস বাড়বে না নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমনকি ডায়াবেটিস
হওয়ার আগে থেকেই আপনারা এই ফলগুলো খেতে পারবেন যাতে ভবিষ্যতে আপনাদের ডায়াবেটিস লক্ষণ না দেখা দেয় এজন্য এ ফলগুলো খেতে পারে। চলুন তাহলে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দৃষ্টি ফল খেতে বাধা নেই সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য২০ টা ফল খেতে বাধা নেই
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশটা ফল খেতে বাধা নাই এ সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব। চলুন তাহলে দেরি না করে এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত তথ্য জেনে আসি।
ডায়াবেটিস নিয়ে কথা
চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিষ্ঠা ফল খেতে বাধা নেই এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব তো তার আগে আমরা ডায়াবেটিস সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই। বর্তমানে এমন কোন মানুষ নাই যে ডাইবেটিস সম্পর্কে জানে না।এ লোকটা জটিল না হলেও স্থায়ী একটা রোগ বলা হয়।ডায়াবেটিস একবার হয়ে গেলে আর ভালো হবে না তবে এটাকে নিয়ন্ত্রণ রাখার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।এটা হলে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া করতে হয়।
যেহেতু এই রোগীদের জন্য নিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরা করার পরামর্শ দেয়া হয় এজন্য এদেরকে বিভিন্ন ফল বা খাবার দাবার এগুলো বুঝেশুনে খেতে হয়।বিভিন্ন খাবার বা ফল ফলা দিন খাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়।
যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শর্করা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা কথা বলা হয়েছে। অনিয়ম তান্ত্রিক চলাফেরা বিধি-নিষেধ না মানা মিষ্টি জাতীয় শর্করা চিনি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ডায়াবেটিস অতিরিক্ত হয়ে যায়। যার ফলে জীবনের ঝুঁকিও এসে যায়।
ফল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ফল খাওয়ার ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আছে বেছে খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।তাই আমরা এ আর্টিকেলটি এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যেখানে ডাইবেটিস রোগীদের জন্য যে ফলগুলো খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে।চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের কাঙ্খিত আলোচনা শুরু করি। আমাদের আলোচনার বিষয় হলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে বিষটা ফল খেতে বাধা নেই সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলঃ
আপেল ফল
আসুন আমরা জেনে নেই এ পোস্ট থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আপেল কেমন উপকারী সে সম্পর্কে কিছু কথা।
আমরা অনেকেই জানিনা আপেল হল হাইপোগ্লাইসেমিক এর অর্গানিক সোর্স যার মধ্যে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
এ ফাইবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকার ।তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে পেকটিন ।এই পেকটিনের কাজ হচ্ছে
রক্তের মধ্যে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।এর সাথে সাথে শরীরে ইনসুলেন্সের মাত্রা কমিয়ে আনতে সঠিকভাবে বজায় রাখ।
পাকা পেঁপে ফল
পাকা পেতে অনেক সুস্বাদু একটি ফল যার অনেক গুনাগুন রয়েছে আমরা অনেকে পছন্দ করি আবার অনেকে পছন্দ করি না যারা পছন্দ করি না তারা এ পেঁপের গুনাগুন সম্পর্কে জানলে অবশ্যই নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করব এবং খেতে আগ্রহী হব অবশ্যই।পেটের মধ্যে একটা বড় গুণ রয়েছে যা ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে ।এছাড়া ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাকা পেঁপে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পাকা পেঁপে খুবই ভালো।
আমরা হয়তো অনেকে জানিনা ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে অতিরিক্ত বাড়তে থাকে ।অতিরিক্ত প্রভাব বাড়ার কারণে এর প্রভাব পড়ে স্নায়ুর উপরে গিয়ে।এজন্য পেঁপে খেলে এই ধরনের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়। যার কারণে সব ধরনের মানুষের জন্য পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো এতে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে যা লিখে শেষ করা যাবে।
পেয়ারা ফল
কাঁচা পাকা লবণ দিয়ে হোক সুন্দর করে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মাখিয়ে হোক না কেন আমরা সকলেই পেয়ারা খেতে পছন্দ করি। আমরা যে সকলেই পেয়ারা খেতে পছন্দ করি তবে সকলেই কি এই পেয়ারা সম্পর্কে এই পেয়ারার গুনাগুন উপকারিতা সম্পর্কে জানি অনেকেই জানিনা। আজকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনাদের চোখ কপালে উঠে যাবে। এইজন্য যে পেয়ারাতে অনেক গুণাবলী রয়ে।
পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে আনে। যদি ডায়াবেটিস হয়ে যায় তবে পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।একটি পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণের ফাইবার রয়েছে।যার কারণে মানবদেহে রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হতে থাকে।এমন কি এই ফাইবার ডায়াবেটিস হওয়া থেকে রোধ করতে পারে।একটি পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে যার কারনে এই পেয়ারা খেলে আরও বেশ কিছু রোগের শেফা হিসেবে কাজ করে যেহেতু এখানে ডায়াবেটিস সম্পর্কে লিখা হয়েছে এজন্য পেয়ারার অন্যান্য গুণ সম্পর্কে তুলে ধরতে পারলাম না অন্য কোন ট্রাফিক সে পেয়ারা সম্পর্কে লিখলে সেখানে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করো।
আমলকি ফল
যখন আমলকির কথা আসে তখন আমরা অনেকেই মনে করি আমলকি শুধু চুলের জন্যও উপকারী। তবে আমরা কয়জনেই সম্পর্কে জানি যে আমলকি ডায়াবেটিসের বিষয়ক কার্যকারী। চলুন তাহলে আপনাদেরকে জানাই আমলকি ডায়াবেটিসের জন্য কি কাজ করে।ডায়াবেটিসের রোগী প্রতিদিন আমলকি খেলে কি উপকার পাবে সেটা হল শর্করা ও ইনসুলেন্সের মাত্রা আমলকি সঠিকভাবে বজায় রাখে।ইন্সুরেন্স এর মাত্রা ও শর্করার মাত্রা সঠিকভাবে বজায় থাকার কারণ আমলকির মধ্যে থাকে ক্রোমিয়াম এবং অগ্যাশয়েল খুবই কার্যকরী ও উপকারী।
কমলালেবু ফল
আমরা সকলেই জানি কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ।তাছাড়া কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যার কারণে রক্তচাপ সঠিক নিয়মে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারা যায়। কমলালেবু খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। লাইসেমিক কমলালেবুর মধ্যে সামান্য পরিমাণের সাথে।যার কারণে কমলালেবুর রস বানিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
কিউই ফল
এই ফলটি বিদেশি হলেও আমাদের বাংলাদেশে এভেলেবেল পাওয়া যায় এ ফলটির কার্যকারিতা জানলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে এই ফলটির কার্যকারিতা হলো শরীরের সুগারের লেভেলকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।চিকিৎসকদের মতে এই ফলটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এই জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এ ফল খাওয়া খুবই উপকার।
কালো জাম ফল
এই ফলটি একটি দেশী ফল এ ফলটি সবাই চেনে এই ফলটি বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার। কালো জামের মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান গুলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এর ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিশ্চিন্তে খাওয়া যায় এতে কোন ক্ষতি হবে না বরঞ্চ উপকৃত হবে।আরেকটা বিষয় জানানোটা দরকার মনে করলাম আপনাদেরকে শুধু জাম নয় জামের বিচিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে প্রতিদিন যদি আপনি গুড়া করে হাফ চামচ মিক্স করে খেতে পারে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এটা খুবই কার্যকর।
অ্যাভোকাডো ফল
এ ফলটি অনেক গুণসমৃদ্ধ ফলটি হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে তাছাড়া রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে এ ফলটি।এছাড়া অ্যাভোকাডো তে থাকা গুড ফ্যাট ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ।
কামরাঙ্গা ফল
এ ফলটি দেশি ফল টক হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এই ফলটিও কালো জামের মতো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই জন্য এই টক ফলটি আপনারা চাইলে খেতে পারেন। এই ফলটি কাঁচাপাকা সর্বাবস্থায় টক লাগে এটা বিভিন্নভাবে মাখিয়ে খাওয়া যায় লবণ দিয়ে খাওয়া যায় ফলটি খুবই সুস্বাদু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিনিয়ত এর ফল খাওয়া খুবই উপকার।
আনারস ফল
আনারস একটি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণকারী ফল এটি এন্টি ব্যাকটেরিয়া এন্টিভাইরাস একটি ফল ।আনারস ফল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সাধারণভাবে জ্বরটর হলে আনারস খাওয়ানো হয়।ভাইরাস জ্বরে আনারস অনেক কার্যকারী তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এ ফলটি।
তরমুজ ফল
এ ফলটির মধ্যে অনেক গুনাগুন রয়েছে বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এ ফল খাওয়ার কোন বাধা নেই যত খুশি তত খেতে পারে।এই ফল খেদামিটাই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগা তো সহায়তা করে এবং পানি শূন্যতার পূরণ করে এই ফলটি। এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার।
ডালিম ফল
ডালিম ফল সকলেরই পছন্দ ডালিম ফল সুস্বাদু মিষ্টি এবং রসে ভরা।ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে ডালিম ফল।ডালিম অন্যান্য রোগের সাথে সাথে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অনেক ্যকারী কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
জামরুল ফল
জামরুল ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন চাইলে ডায়াবেটিসের রোগীরা জামরুল খেতে পারেন। জামরুল ফল রক্তে চিনির পরিমাণ কমায় বা নিয়ন্ত্রণ করে।জামরুলের উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান।
আমড়া ফল
আমরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি টপ ফল।এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এ ফলটি কাঁচা পাকা, রান্না করে লবণ দিয়ে মাখিয়ে আচার করে বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। বিভিন্ন বাড়িতে আমরা রাজার পাওয়া যায়। এ আমরা ফলটি সর্দি কাশি জ্বরেও মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে গেলে স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্নভাবে আচার করে মাখিয়ে খাওয়ায়।
বড়ই ফল
বর্তমান সময় অনুযায়ী অনেক ধরনের বই বের হয়েছে যে বড়ইগুলো সকলেরই পছন্দের তবে টক বড়ই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া সবচাইতে ভালো।টগবড়ই ভিটামিন সি রয়েছে। এটা বড়ই আচার করে খাওয়া যায় কাঁচা পাকা খাওয়া যায় লবণ দিয়ে খাওয়া যায়। এটি খেতে খুব সুস্বাদু।
চেরি ফল
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চেরি ফল খুবই উপকারী ডায়াবেটিস রোগীরা চেরি ফল খেতে পারে কেননা এর মধ্যে সমৃদ্ধ আছে গ্লাইসেমিক এবং রয়েছে ইনডেক্স এর মান- ২০ পারসেন্ট।
আরো পড়ুন: ড্রাগন ফল ঔষধি গাছ এর ১০ টি ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে
পিচ ফল
সেই ফলটি অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু সবাই খেতে পছন্দ করে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফলটি অনেক উপকারী ও আদর্শ একটি ফল।এর ফলে জিআই এর পরিমাণ কম থাকার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই উপকার।
বেরি ফল
বিড়ি জাতীয় বেশ কয়েক ধরনের ফল রয়েছে যেমন স্ট্রবেরি ব্ল্যাকবেরি ব্লুবেরি আরো বয় বেশ কয়েক জাতির বেরি ফল পাওয়া যায় ।এ ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো ডায়াবেটিস রোগীরাই ফলগুলো খেতে পারে মনে আসে কেননা এ ফলগুলো খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল ফল
কাঁঠাল দেশী ফল এ ফলটি এমন একটি ফল যে ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন এ এবং সি আইরন ম্যাঙ্গানিজ। এরকম অসংখ্য উপাদান রয়েছে। যেটা বলে শেষ করা যাবে না এটা আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল বলা হয়।এই ফলটি সবাই চিনে সবাই জানে সকলেরই পছন্দের একটি ফল এটি খেতে মিষ্টি সুস্বাদু।অন্যান্য ফলের তুলনায় আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের মধ্যে প্রচুর গুনাগুন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে।রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার গুণ কাঁঠাল ফলে রয়েছে এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ ফল ।
কচি ডাব ফল
কচি ডাব ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এবং কচি ডাব হালকা লবণাক্ত হয় এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে প্রতিটা খেতে পারেন। তবে শাশালা ডাবগুলো মিষ্টি হয় এজন্য এ ডাবেড তুলনায় কচি ডাব খেতে পারেন।
ডায়াবেটিসের রোগী ভুলেও যে ফল খাবেন না
আসুন আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিয়ে ডায়াবেটিসের রোগী হলেও কোন ফল গুলো খেতে পারবে না সে সম্পর্কে
ডায়াবেটিসের রোগী যে ফলগুলো ভুলেও খাবেনা বরং এড়িয়ে চলবে সে ফুলগুলো হল আম আতা কলা সফিদা আঙ্গুর এ সমস্ত ফলগুলো ডায়াবেটিসের রোগীকে খাওয়া যাবে না । এই ফলগুলোতে ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক এই দুইটির তুলনায় অনেক বেশি । এইজন্য এ ফলগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ।
ডাক্তারের পরামর্শ
একজন ডাইবেটিসের রোগীকে ফল খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে কতটুকু ফল খেতে পারবে কি পরিমান ফল খেতে পারবে কোন ফল গুলো খেতে পারবে সেটা জেনে নিতে হবে । যদি নিজের মন মত চলে নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ী চলে কি খেতে হবে কি খেতে হবে না সেগুলো কে মান্য করে না চলে তাহলে সমস্যা হতে পারে । এইজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি ডায়াবেটিস রোগীরা যে বিষটা ফল খেতে পারবে সে সম্পর্কে। আপনাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে যাদের ভালো লেগেছে এবং এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই অন্যদের কাছে শেয়ার করবেন বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদেরকে জানাবেন আমাদের সাথে থাকবেন আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদেরকে জানাবেন ধন্যবাদ।
লেখার মধ্যে ভুল হলে মাফ করবেন ভুল ত্রুটি সবার মধ্যে থাকে ভুলের উর্ধ্বে কেউ না ক্ষমাই বড় গুণ ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url