যে দশ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস হয় সে সম্পর্কে আলোচনা

 

যে দশ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস হয় সে সম্পর্কে আলোচনা

আমরা সকলেই গ্যাসের সমস্যা সম্পর্কে অবগত আছে | কে আমরা আপনাদের কাছে যে আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি এটাতে যে দশ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় এই সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা কথা আমরা আলোচনা করেছি |



, এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা পড়েন আপনারা নিজেরা উপকৃত হবেন এবং অন্যকে শেয়ার করলে তারা উপকৃত হবেন | এজন্য চলুন দেরি না করে আজকের আর্টিকেলটি আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেনে নিই গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে কিছু কথা |

পোস্ট সূচিপত্র: যে দশটি খাবারে গ্যাস্টিক হয়

 ভূমিকা

 প্রিয় পাঠক, আমরা দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা ওঠাবসা খাওয়া-দাওয়া দ্বারা শরীরের যে সমস্ত রোগ গুলা বাসা বাঁধে ডিপেন্ড করে আমাদের পরিবেশের উপরে | কোন কোন খাবার খেলে আমাদের গ্যাস হয় এটা আমরা জানি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা এড়াইতে পারি না এই কারণে খেয়ে ফেলি আজকেরে আর্টিকেলটি আলোচনা করা হয়েছে যে সমস্ত খাবার খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় এই সম্পর্কে | নিচে এ সমস্ত কিছু খাবারের বিস্তারিত আলোচনা  নিম্নরূপ |

 চর্বি জাতীয় খাবার

আসুন আমরা জেনে নিই চর্বি জাতীয় খাবারে গ্যাস্ট্রিক হয় কিনা এ সম্পর্কে কিছু কথা | অনেক সময় আমরা অনুভূতি করি যে পেটে গ্যাস হয় মনে হচ্ছে। আসলে এটা  না এরকম মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলার জন্য এরকম অনুভূতি হয়। এই খাবার গুলি খাওয়ার পর হজম হতে সময় লাগে যে কারণে পাকস্থলী খালি হতে সময় লাগে এবং মন ও মস্তিষ্কের দিক থেকে মনে হয় যে পেট ভরে গেছে | 

কোমল পানিয় 

আসুন আমরা জেনে নিই কোমল পানি সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা।অনেক মানুষ আছে যারা কোমল পানি খেতে পছন্দ করে এই পানি খাওয়া মাত্র পেটে গিয়ে প্রভাব ফেলে এবং  পেট ফুলে যায় ওর হুটভাট শব্দ করে |এই কমল পানির ভেতরে থাকা এসিড যার জন্য এমনটা হয় |

মাংস

আসুন আমরা জেনে নিই মাংসের  গ্যাসটিক হয় কিনা এই সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু কথা |মাংসের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু খুব কম মানুষ আছে মাংস খেতে পছন্দ করে সেটা গরু হোক ছাগল হোক চাই মুরগি হোক এক কথায় মাংস সবার সবাই পছন্দ করে |কিন্তু এর প্রোটিন পাকস্থলীতে দীর্ঘ সময় থাকে যার ফলে পাকস্থলীতে তৈরি হয় শকরাও ব্যাকটেরিয়া |এটা থেকে সৃষ্টি হয় পেট ফোলা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা | তবে মাংস যদি বেশিখন ধরে চিবিয়ে খাওয়া যায় তবে কিছুটা উপকার আসে আসা সম্ভব তা না হলে পরিমাণ কম করে দিতে হবে এটার নাম রেড মিট | 

গম খাদ্য 

আসুন আমরা জেনে নিই গমে গ্যাস্ট্রিক হয় এ সম্পর্কে কিছু কথা |ঘুম বাংলাদেশের প্রচলিত একটা শস্য যেটা সারা বাংলাদেশেই কৃষকরা চাষ করে থাকে | গমের রুটি খেতে আমরা পছন্দ করি গমের রুটি খুব সুস্বাদু  হয়ে থাকে |ঘুম থেকে তৈরি হওয়া যে সমস্ত খাবার আমরা খেয়ে থাকিতা থেকে যদি আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আমাদের  গ্লুটেন রোগ আছে।ঘুম থেকে তৈরি খাবার আমাদেরকে এড়িয়ে চলে যেতে হবে |

বাদাম

আসুন জেনে নেওয়া যাক বাদামে গ্যাস্ট্রিকের কিছু কথা | আমাদের কাছে একটা প্রিয় খাবার ছোট-বড় সব ধরনের মানুষ বাদাম খেতে পছন্দ করে এবং কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে সেটা পার্কে হোক নদীর ধারে হোক যেকোনো জায়গায় হোক বাদাম দেখলে আমরা কিনে খায় কিন্তু আসলে আমরা জানি না যে বাদাম যে প্রোটিন আছে ভিটামিন আছে যা আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় | চর্বি, প্রোটিন ও আশঁ এই তিনটা উপাদানই বাদামে আছে এবং এই তিনটা গ্যাস সৃষ্টি করার কারণ  |এইজন্য যে বাদাম হজম হতে দেরি হয় বাদামের মধ্যে কাজুবাদাম বিশেষ করে এই সমস্যাটি তৈরি করে |

মটরশুঁটি

আমরা জেনে নিই মটরশুটি ভেতরে গ্যাসটিকের সমস্যার জানা-অজানা কথা | মটরশুটি দেখতে সবুজ এবং খেতে খুবই সুস্বাদু বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে সাত করার জন্য বা পোলাওয়ের  সাত বাড়ানোর জন্য দেওয়া হয় |

মটরশুঁটির উদ্ধৃতি প্রোটিন ও আন্টি অক্সিডেন্ট আশেঁ ভরপুর কাঁচা এবং রান্না করে খেতে খুবই মজা লাগে এবং দামেও সস্তা | তবে মটরশুটি জাতীয় খাবারে গ্যাস হতে পারে |


মটরশুটি তে থাকা এক ধরনের সকরা , হজম  করার ক্ষমতা  মানবদেহে থাকে না | মটরশুঁটি খাওয়ার পর পেট থেকে মলাশয় মিশে যায় তারপর সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও চক্রার সঙ্গে শুরু করে  গাঁজানো যা থেকে গ্যাস সৃষ্টি হয় |

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে মটরশুটি ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে কারণ হজ পরিমাণে বেশি খাওয়া যাবেনা কম খেতে হবে  |এবং এসব খাবারে মিষ্টি মেশানো একবারই চলবে না |

ফল খাবার

আসুন জেনে নেওয়া যাক ফল খাওয়ার ব্যাপারে গ্যাস্ট্রিকের কিছু তথ্য সম্পর্ক | আমরা যে ধরনের খাবার খাই না কেন খাওয়ার পর ফল যদি খায় সেগুলোর উপরেপ্রভাব ফেলে |যে সমস্ত খাবার দেরিতে হজম হয় যেমন মাংস খাওয়ার পরওটাতে থাকা চিনি গাজানু প্রক্রিয়া শুরু কর করবে যার ফলে গ্যাস হবে পেটে |

খাওয়ার পর ফল খাওয়াই লাগে তাহলে বেদানা তরমুজ লেবু জাতীয় ফল ইত্যাদি ফল খান কারণ এ ফলগুলোতে চিনি কম থাকে |

ক্রিসিফফেরাস জাত সবজি 

আসুন আমরা জেনে নেই এ জাতীয় সবজি সম্পর্কে কিছু তথ্য এই জাতীয় সবজিগুলা পুষ্টি প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং সুস্বাদু খেতে খুবই মজা সারা বছর আমাদের দেশগুলোতে পাওয়া যায় | ব্রকলি ব্রাসেল স্পাউট ও কপি ইত্যাদি এই জাতীয় সবজি | এগুলো পুষ্টি জাতীয় হলেও খাওয়ার পর পর পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে এবং  পেট ফুলে যায়।

 পেট ফুলার কারণ হলো এগুলোতে আছে ভোজ্য আঁশ এইজন্য হজম হতে বিলম্ব হয় যার ফলে অস্ত্রের ভিতর ব্যাকটেরিয়া সংস্পর্শ করে বেশি | এর ফলে পেটে গ্যাস বেশি হয় অস্বস্তি দূর করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে |তাছাড়া হজমের ওষুধ খেয়ে নিতে হবে এগুলোকে খাওয়ার পূর্বেই | 

সুগার ফ্রি খাবার

 আসুন আমরা জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক হওয়ার ব্যাপারে সুগার ফ্রি খাবারের সম্পর্কে কিছু তথ্য | সুগার ফ্রি চকলেট বা ক্যান্ডি এগুলো আমাদের পছন্দনীয় খাবার বাচ্চাদের সাথে সাথে বড়রাও এই খাবারটা পছন্দ করে | সুগার ফ্রি চকলেট ক্যান্ডি চুইংগাম ইত্যাদি এগুলো ছাড়াও চিনির পরিবর্তে যেগুলো ব্যবহার করা হয় যেমন  মেনটল 

 আইসো মাল্ট  যাই লিটন ইত্যাদি সুগার অ্যালকোহল এই ধরনের রাসায়নিক উপাদান মোড়কের গায়ে এ নাম গুলো

 খুজলে পাবেন | এগুলো খেতে সুস্বাদু কিন্তু পেটে পেটে গ্যাস  তৈরি করে |এগুলো বাদ দিয়ে বেছে নিতে হবে ম্যাপল সিরাপ কিংবা স্টেভিয়া আসল বেছে নিতে হবে। 

ওটুস

 আসুন আমরা এ পোস্ট থেকে জেনে নিই অটো সম্পর্কে কিছু কথা | স্বাভাবিকভাবে অটোস ওজন কমানোর জন্য  উপযোগী ও পুষ্টিকর একটি খাবার | কিন্তু সবার এটা সহ্য হয় না হজমের ক্ষেত্রে এইজন্য এটাতে গ্যাস হয়

প্রক্রিয়াজাত ডেজার্ট

আসুন আমরা জেনে নিই প্রক্রিয়াজাত খাবার কি পরিমান গ্যাস রয়েছে তা সম্পর্কে | বাহির থেকে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। যা ফ্লাটুলেন্স এর মাত্রা বৃদ্ধি করে |চিনি থেকে তৈরি হয় গ্যাস এইজন্য আমাদেরকে আমদানি পড়া চিনি খাওয়া পরিহার করতে হবে  |

ভাজাপোড়া বা তৈলাক্তক খাবা

আসুন আমরা ভাজাপোড়া সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিন | ভাজাপোড়া আমাদের প্রিয় খাবার বেশিরভাগ মানুষ ভাজাপোড়া পছন্দ করে | বেগনি পিয়াজি পুরি চপ আরও বিভিন্ন ভাজাপোড়া আছে আমাদের প্রিয় খাবার |

ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া বা কোন যুক্তিগত কারণ ছাড়াই আমরা সকলেই জানি এগুলা তৈলাক্ত খাবার যার জন্য আমাদের গ্যাসের মত সমস্যা হয় এই জন্য এই সমস্ত খাবার আমাদেরকে পরিহার করতে হবে। কিন্তু আমরা সেটা পারি না | কারণ খাবারটি খুব মুখরোচর লোভনীয় খাবারটাকে পছন্দ করে |

এছাড়াও বিরানি বিভিন্ন ধরনের কাবাব কাচ্চি বিরিয়ানি কালা ভুনা এ ধরনের খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস রয়েছে এজন্য আমাদেরকে সমস্ত খাবার পরিহার করতে হবে | এ সমস্ত খাবার থেকে বেঁচে থাকত খেলেও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে খাবারগুলো খেতে হবে |

 শেষ ভাবনা

 আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম যে কোন কোন খাবার খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয় | তোমরা নিজেরাও এ সমস্ত খাবার থেকে বেঁচে থাকবো অন্যদেরকে বেঁচে থাকার জন্য সচেতন করব | আর আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের কাছে এই পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন কমেন্ট করবেন ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন|।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url