শিশুদের ঠান্ডা ও কাশির ১০ ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা
আপনারা যারা জানেন না বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি হলে কিভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে হবে | আসুন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই উপকারী | অসুখ হলে সব মা-বাবা চিন্তাই থাকে কারণ বাচ্চারা তো ঠিকমতো বলতে পারেনা তাদের অসুখ সম্পর্ক এজন্য বেশিরভাগ মা-বাবার টেনশনে থাকে যে কিভাবে
বাচ্চাদের অসুখ ভালো করা যায় |যেসব মা-বাবারা বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য | এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরসাথে আলোচনা করব বাচ্চাদের সর্দি- কাশির ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে | আসুন তাহলে দেরি না করে বিষয়টি জেনে নেওয়া যায় |
পোস্ট সূচিপত্র: শিশুদের ঠান্ডাও কাশি জন্য ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি জন্য ঘরোয়া ভাবে প্রতিকারসম্পর্কে |
বাবা-মার একটাই চিন্তা থাকে নিজের সন্তান কিভাবে ভালো থাকে কিভাবে সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারে এই জন্য |এইজন্য আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি ভালো করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার |
ঠান্ডা ও কাশি
আসুন আমরা জেনে নিই বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশির সম্পর্ক | সাধারণত বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি দুই ধরনের হয়ে থাকে। ভেজা বা সিক্ত কাশি, আর একটা হল শুষ্ক কাশি|
ভেজা বা সিক্ত কাশি
আসুন আমরা জেনে নেই এই পোস্ট থেকে শিশুর ভেজা বা সিক্ত কা সম্পর্কে | শিশুর গলায় বা না খেয়ে কফ বা স্লেসমার হলে ভেজা বা সিক্ত কাশির লক্ষণ |
শুষ্ক কাশি
আসুন জেনে নেওয়া যাক শুষ্ক কাশি সম্পর্কে | পার্থক্য হল শুষ্ক কাশিতে কফ থাকেনা |
ঠান্ডা ও কাশি রোগের কারণ
আসুন আমরা জেনে নিই নবজাতককে ঠান্ডা ও কাশি লাগার কারণ | বাতাস ও ঠান্ডা আবহাওয়া কিংবা ঠান্ডা পানির কারণে রোগ হয়ে থাকে |সেই জন্য বাবা মাকে বা বাড়ির অন্য সদস্যদের কে নবজাতকের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে
এবং ঠান্ডা বাতাস ঠান্ডা পানি ও ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে বাচ্চাকে সুরক্ষিত রাখতে হয় | বাচ্চার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে | এরকম ব্যক্তি কাছে দেওয়া যাবে না যার ঠান্ডা ও কাশি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আর এরকম পরিস্থিতি হলে তাড়াহুড়ো করে কোন কিছু করা যাবে না কিনতে ভাবনা করে এই রোগের প্রতিকার করতে হবে | আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিকারের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি নিম্নরূপ,
মায়ের বুকের দুধ
ঠান্ডা ও কাশি প্রতিকারের জন্য মায়ের বুকের দুধের কার্যকারিতা | নবজাত শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই |সেদিন শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধের মত প্রাকৃতিক খাবার আর কিছু হতে পারে না এবং মায়ের বুকের দুধ থেকে ঠান্ডাও কাশি জনিত রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় চার ছয় মাসের বাচ্চাদের যেকোনো রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে | এজন্য বুকের দুধ নিয়মিত খাওয়ানো যে সমস্ত শিশু মায়ের স্পর্শ ছাড়া কোন স্পর্শই বোঝেনা এদেরকে নিয়মিত দুধ খাওয়ানো খুবই আরামদায়ক |
হলুদ
আসুন জেনে নেওয়া যাক বাচ্চার ঠান্ডা ওশি জনিত রোগের প্রতিকার করার জন্য হলুদের কার্যকারী ক্ষমতা কতটুকু |
যুগ যুগ ধরে হলুদ প্রচলিত একটি রোগ নিরাময় ক্ষমতাধারী উপকরণ |এখনো বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে রোগ প্রতিকারের উপকরণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ | বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি প্রতিকারের জন্য গরম পানিতে অল্প একটু হলুদ মিশিয়ে একটি মসৃণ কাপড় নিয়ে একটি শিশুর বুকে পায়ের পাতায় এবং কপালে মুছতে থাকেন হলে হলুদের তাপটি বাচ্চার শরীরকে ঠান্ডা ও কাশি হতে হালকা করে দেয় |
গরম সরিষার তেলের মালিশ
আসুন জেনে নেওয়া যাক আরেকটি ঘরোয়া উপায় বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়। বাচ্চার রোগ দূর করতে হলে খাঁটি সরিষার তেলের ভিতরে দুই কোয়া রসুন এবং কালোজিরা সহ তেল হালকা গরম করে দেন | তারপর শিশুর গলাতে মাথাতে বুকে এবং সারা শরীরে ভালোভাবে সরিষার তেলের মালিশ করা এভাবে নিয়মিত কিছুদিন মালিশ করতে থাকলে বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে | একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে তেল জাতীয় অতিরিক্ত শরীরে মাখানো হয় মাখানো হয়ে গেলে অতিরিক্ত তেলটি মুছে ফেলুন | আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে এই টিপসটি ৯ মাসের কাছাকাছি বাচ্চাদের জন্য |
গুর জিরা গোল মরিচ এবং গরম জলের মিশ্রণ
আসুন এ সমস্ত মিশ্রণ দিয়ে ছোট বাচ্চার ঘরোয়া পায়ে রোগের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই |
ছোট বাচ্চার জন্য গুর জিরা গোল মরিচ এবং গরম পানির মিশ্রণটি কাশি এবং গলার ব্যথার আরাম দেয় এবং ঠান্ডাও দূর করে শরীরে গরম ধরায়।
গুড়- চা চামচের দুই চামচ
গোল মরিচ- একটা থেকে দুইটা
জিরে- দুই চিমটি
পানি- এক- দুই কাপ
এই সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে জলকে চুলায় অথবা স্টপে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং একসাথে মিশিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিতে হয় | এরপর আপনার শিশুকে দুই চামচের বেশি খাওয়াবেন না কারণ দুই চামচের বেশি খাওয়ালে ক্ষতি হবে এই জন্য যে গোল মরিছে ঝাল রয়েছে |
ওষুধমিশ্রিত নারকেল তেল মালিশ
আসুন জেনে নেই আজকের এই পোস্ট থেকে ওষুধ বিস্তৃত নারকেল তেলের মালিশ করে ঘরোয়া উপায় ঠান্ডা ও কাশি ভালো করার পদ্ধতি | প্রথমে নারকেল তেল গরম করে নেয় এখন এই তেলে মিশাতে হবে যে সমস্ত উপকরণ
প্রথমে নারকেল তেল গরম করতে হবে এক দুই কাপ এক ভাগ পিয়াজ নিতে হবে ৩-৪ টি তুলসীর পাতা একটি পান পাতার বোটাএগুলো কিসে তেলের সাথে মিশ্রণ করতে হবে এবংহালকা গরম থাকা অবস্থায় পূর্বের মতো শিশুর বুকে গলায় পিঠে পায়ের তালুতে হাতের তালুতে মালিশ করতে |
হলদি যুক্ত দুধ
আসুন আমরা জেনে নিই হলদিযুক্ত দুধের উপকারিতা সম্পর্কে | শুষ্ক কাশির জন্য হলুদ যুক্ত দুধ শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার |হাফ গ্লাস দূরে অথবা এক গ্লাস দূরে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে হালকা গরম বাচ্চাকে খাওয়ালে শুষ্ক কাশি গায়ের ব্যথা শরীর খারাপ করা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় | দুধ ও হলুদ একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন যুক্ত খাবার |
মধুর মিশ্রণ
আসুন আমরা জেনে নেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চার ঠান্ডা ও কাশি প্রতিকারের জন্য মধুর ব্যবহার | মধু মধু বাচ্চাদের বা বিভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য সুস্বাদু একটা খাবার কিন্তু মধু বেশি পরিমাণে খাওয়া যায় না এক দুই চামচ খেলেই ছেলে হয় বেশি খেলে শরীর খারাপ করে মাথা ঘুরে বমি বমি ভাব হয় ইত্যাদি | কিন্তু বাচ্চাদের রোগ মুক্তির ব্যাপারে একটা নির্ভরযোগ্য উপাদান। মূলত মধু কম বয়সী বাচ্চা বলতে এক বছরের নিচে বাচ্চাদের খাওয়ানো ঠিক না কারণ মধুতে যে কণা থাকে কনার কারণে হজম ক্ষমতা থাকে না | তবে ১২ মাস বয়সী বাচ্চাদের শুষ্ক কাশি হলে মধুর কোন বিকল্প নয়। কারণ শুষ্ক কাশির জীবাণু থাকে সে জীবাণুর সাথে মধু লড়াই করে গোলমরিচ অথবা লেবুর রস অথবা আদা চেতলে দেওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো কাজ করে এই উপাদানটি। গোল মরিচ গুঁড়ো করে এবং এক চুটকি শুকনো আদা এই মিশ্রণগুলো গুঁড়ো করে বাঁচাতেলে মধুর সাথে পরিমাণ মতো খাওয়ালে বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী স্বাস্থ্যকর এবং এরকম মিশ্রণ বাচ্চারা খুব আনন্দের সঙ্গে খেয়ে থাকে |
খিচুড়ি বা স্যুপ
আসুন আমরা জেনে নেই বাচ্চাদের ঠান্ডা বা কাশি হলে সুখ বা খিচুড়ি খাওয়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে | সাধারণত বাচ্চারা ঠান্ডা ও কাশিতে যখন ভোগে তাদের খাওয়ারের রুচি থাকে না কোন ধরনের খাবার খেতে চাই না। এই অবস্থায় তাদেরকে শক্ত খাবার না দিয়ে তাদেরকে নরম করে খিচুড়ি অথবা সুখ বানিয়ে খাওয়ানো এ অবস্থায় খুবই উপযোগ | ঠান্ডাও কাশি হলে বাচ্চাদেরকে খিচুড়ি বা স্যুপ বাচ্চাদের জন্য সুস্বাদু শান্তি দায়ক কারণ এই অবস্থায় তো বাচ্চাদের খাবারের রুচি থাকে না এজন্য নরম খিচুড়ি বা সুপ খাওয়ালে ঠান্ডা কফ বের করতে সাহায্য করে |
গরম পানি গরগর করা
আসুন বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশির হলে ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকারে গরম পানির কি উপকারিতা আছে তা জেনে নিন | ছোট বাচ্চার এ রোগ হলে হালকা করে গরম পানি করতে হবে এবং তার সাথে লবণ মিশিয়ে দিনে তিনবার অথবা তার চাইতে বেশি গড়গড়ে করা হয় | গরম পানি লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করালে, গলাতে একটা তাপ যার কারণে বাচ্চা শান্তি অথবা স্বস্তিকা কিভাবে বেশ কিছুদিন গরগর করালে বাচ্চার রোগ ভালো হয়। |
ঘুম বা বিশ্রাম
সাধারণত বাচ্চাদের যখন অসুখ হয় তখন বাচ্চারা কোনভাবেই শান্তি পায় না ঘুম তো দূরের কথা | বাচ্চাকে এই অবস্থায় এমন জায়গায় রাখবেন যাতে বাচ্চা ঠান্ডা অতিরিক্ত না বেড়ে যায় সব সময় হালকা রোধ বা হালকা গরম পরিবেশে যেটা বাচ্চা সহ্য করতে পারে এরকম পরিবেশে রাখবেন ঠান্ডা হাওয়া বাতাসে রাখবেন না পৃথিবীতে রাখার চেষ্টা করবে এবং বাচ্চাকে হালকা তরল খাবার এবং হালকা গরম খাবার খাওয়াবেন এই নিয়ম অনুপাতে কিছুদিন চললে আল্লাহর রহমতে বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে আশা করছি |
শেষ ভাবনা
আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি বাচ্চাদের ঠান্ডা ও কাশি সম্পর্কে দশটা ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে | আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে আপনার পাশের মানুষদেরকেও এই বিষয়টা শেয়ার করুন |এবং আপনার যে বিষয়গুলো ভালো লেগেছে এই বিষয়গুলো মানুষের সাথে আলোচনা করে তাহলে আপনার মত অন্য মানুষ উপকৃত হবে | আমাদেরকে আপনাদের মূল্যবান তথ্যগুলো জানাবেন শেয়ার করবেন আর আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ |
কমেন্টে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন এবং ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url