গর্ভকালীন সময় পেট ফাটার কারণ ও ফাটা দাগ দূর করার উপায়
অধিকাংশ মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ে পেট ফাটা দেখা দেয় ।আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে গর্ভকালীন সময়ে পেট ফাটার কারণ ও ফাটা দাগ দূর করার উপায়।আপনারা যারা জানতে আগ্রহী তারা আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বে।আপনারা আজকের বিষয় মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন গর্ভকালীন সময়ে পেট ফাটার কারণ ও কাটা দাগ দূর করার উপায় সাথে সাথে আলোচনা করব পেট ফাটা দাগ দূর করার ক্রিম এবং এর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। এই পরিবর্তনের কারণে গর্ভকালীন সময় মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচাইতে কমন সমস্যা হচ্ছে পেট ফাটা।এজন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব গর্ভকালীন সময় পেট ফাটার কারণ ও ফাটা দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে পরিষ্কারভাবে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।আশা করা যায় আপনারা আজকের এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করবেন ।
প্রেজ সূচিপত্রঃগর্ভকালীন সময় পেট ফাটার কারণ
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আপনারা সকলেই জানেন গর্ভকালীন সময় মহিলাদের নানান রকম পরিবর্তন ঘটে। যার কারণে মহিলাদেরকে অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে কাটাতে হয়। বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতো এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্পিড ফটো একটা বড় কারণ।গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের পেট ফাটা দাগ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন আগের চাইতে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গর্ভবতী হওয়ার কারণে তোকে চাপ পড়ে কি কারণে ও পেটফাটা দাগ দেখা দেয়।এবং এফ ফাটা স্থানগুলো খুব চুলকায়। এই জন্য বেশিরভাগ মহিলা প্রশ্ন করে যে পেট ফাটা দাগ দূর করা যায় কিভাবে।
গর্ভকালীন সময় পেট ফাটার কারণ
গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের পেট ফাটা এই কারণটি খুব জটিল নয় ।এই ফাটা দাগ হওয়ার কারণ হলো শরীরের ত্বক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ ।মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় তার শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় । দেখা যায় যে তৃতীয় মাসে পেটের আকার বাড়তে শুরু করে। যার কারণে পেট ফাটা শুরু হয় তোকে ত্বকের উপরের অংশ ফেটে যায় ।গর্ভবতী অবস্থায় যে শুধু পেট ফাটে তা না শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খাটা শুরু করে ।চলুন তাহলে আমরাই কষ্টের মাধ্যমে পিঠ ফাটার কারণ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে আসে ।
বংশগত কারণ
পেট ফাটা গর্ভবতী অবস্থাতে তো হয় আবার বংশগত কারণে ওইটা দেখা যায় ।যদি আপনার বংশের মধ্যে পেটফাটা দাগ আপনার মায়ের অথবা আপনার দাদির অথবা আপনার নানির হয়ে থাকে তাহলে আপনারও হওয়াটা স্বাভাবিক
হরমোনের কারণ
পেট ফাটা হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে হরমোনও একটা বড় কারণ ।গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের হরমোনের স্তর বেড়ে যায়
যার ফলে গর্ভবতী মহিলার ত্বকের ইলাস্ট্রিসিটি কমে যায় এবং ত্বক শুষ্ক ও দুর্বল হতে থাকে ।এই কারণ থেকেই গর্ব মহিলাদের পেটে ফাটা দাগ সম্ভাবনা বেশি হয় ।
ত্বকের আদ্রতার কারণ
গর্ভবতী মহিলাদের পেট ফাটা এ কারণটা ত্বকের আদ্রতার কারণে হয়ে থাকে। একজন মহিলার চোখ যদি শুষ্ক ও দুর্বল হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এইজন্য নিয়মিত ত্বকে মশ্চারাইজার ইউজ করা ।গর্ভবতী মহিলার ত্বক আদ্র রাখতে এবং পেট ফাটা দাগ ঝুকি দূর হয় ।
এজন্য গর্ভ অবস্থায় ত্বকের যত্ন নিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে যাতে আপনার ত্বক সুস্থ ও নরম থাকে
এভাবে নিয়ম মেনে চললে পেট ফাটার সম্ভাবনা কমে যায়।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়লে আপনারা এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন ।
গর্ভ অবস্থায় পেট চুলকানোর কারণ
গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের হাটা জায়গা খুব চুলকাতে থাকে ।যা খুবই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।এটার প্রধান কারণ হচ্ছে গর্ভবতী মহিলার ত্বক প্রসারিত হয় ।গর্ভবতী অবস্থায় পেটের আগ্রার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ত্বক প্রশস্ত হয় এর ফলে ত্বক চুলকায় । ত্বক প্রশস্ত হওয়ার কারণে ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে যায় ।এই কারণে তোকে চুলকানি শুরু হয় । প্রায় মাঝে মাঝেই চুলকায় ।এ সময় তোকে আদ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।নিয়মিত ত্বককে মাস্টারাইজার করলে শুষ্কতা এবং চুলকানো থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।ফাটা দাগে চুল কাটার আরো কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা ।
হরমোনেরপরিবর্তনের কারণে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে ফাটা জাগায় চুলকানোর কারণ । শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে টক শুষ্ক হয় এবং চুলকানি শুরু হয় ।অনেক রকম সাবান বা শ্যাম্পু সুগন্ধি এগুলো ব্যবহার করলে ফাটা জায়গায় চুলকাতে শুরু করে । ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী সাবান শ্যাম্পু সুগন্ধি এগুলা ব্যবহার করা চলবে না ।
আরো পড়ুন: ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করার12 টি ঘরোয়া টিপস
গর্ভবতী মহিলাকে সে অবস্থায় তার সঠিক যত্ন নিতে হবে চুলকানো রোধ করতে ।তোকে স্বাভাবিক রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত অসাধনী ব্যবহার কর ।তোকে স্বাভাবিক রাখা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কি সমস্যা সমাধানের সাহায্যকারী হতে পারে ।
পেটের ফাটা দাগ দূর করার ক্রিম
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন পেটে ফাটা দাগ দূর করার অনেক ধরনের ক্রিম বাজারে পাওয়া যায় ।তবে এসব ক্রিম গুলো সমানভাবে কার্যকর হবে তা নয় ।এরমধ্যে কিছু প্রসাধনে আছে যা পেটে দাগ দূর করার ক্রিম হিসেবে ভালো কাজ করে এর মধ্যে রয়েছে কোকো বাটার ক্রিম ।এটি তোকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে এই ক্রিমটি ত্বকের ভেতর থেকে কাজ করে ।এই ক্রিম ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে ।যার কারণে ডাল আস্তে আস্তে দূর হয় ।শিয়া বাটারের কাজ হল প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে মুলায়েন ও মোলায়েম নমনীয় করে ।
পেট ফাটা দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতীমহিলাদের পেট ফাটা এটা খুব জটিল সমস্যা না । গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের ত্বক প্রসারিত হয় এর ফলে পেটে ফাটা দাগ দেখতে পাওয়া যায় । আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে এই ফাটা দাগ দূর করতে চান ।তবে এই আর্টিকেলে কিছু ঘরোয়া টিপ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো সকলেই মনোযোগ দিবেন ।
অ্যালোভেরা জেল
পেটের ফাটা দাগ দূর করতে আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন । আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত ক্ষমতা বেড়ে যাবে ।এলোভেরা জেল আপনার ফাটা দাগগুলোতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেললে আশা অনুযায়ী ফলাফল দেখতে পাবে ।
লেবুর রস
পেটের ফাটা দাগ দূর করতে লেবুর রস আরেকটি কার্যকরী উপাদান। এই লেবুর রস ঠাটা দাগ দূর করতে খুবই সহায়তা করে । আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত লেবুর রস পেটের ফাটা দাগে বা শরীরের যে কোন ফাটার আগে সুন্দর করে ম্যাসাজ করেন২০ - ২৫ মিনিট ধুয়ে খেলতে হবে এভাবে করলে আস্তে আস্তে কমে যাবে ।
মধু চিনি তৈরি স্কোব
স্কাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য কর ।চিনি ও বধু এক চামচ করে মিক্স করার পরে স্কাব তৈরি করে ফাটা স্থানে ব্যবহার করো ত্বক মশ্রিন ও নরম হবে ।
দুধের ক্রিম ও হলুদের মিশ্রণ
দুধের ক্রিম হলুদ একসঙ্গে মিশ্রণ করে আপনার ত্বকের জন্য খুবই পুষ্টিকর ।দুধের ক্রিম এর সাথে সামান্য হলুদের বুড়ো মিক্স করে আপনার পেটের তকে ভালো করে লাগাতে হবে কিভাবে আপনার পেটের দাগ কমে যাবে ।
এছাড়া আপনি বেকিং সোডা ও পানি একত্রে মিক্স করে ফাটার আগে ব্যবহার করতে পারে এটা অনেক কার্যকর হবে ।
শেষ কথা
আজকের কষ্টের মাধ্যমে আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন ।গর্ভকালীন সময় পেট ফাটার কারণ পকেট ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে । আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে ভালো লাগা বিষয়গুলো আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজনের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন । এবং তাদেরকে এসব বিষয়গুলো জানার সুযোগ করে দেবে ধন্যবাদ ।
লেখার মধ্যে আমার ভুল ত্রুটি থাকলে মাফ করবেন সবাই ভাল থাকবেন বেশি বেশি শেয়ার করুন ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url