ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করার12 টি ঘরোয়া টিপস
আপনারা অনেকেই ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করতে চান কিন্তু কিভাবে ঠোট ফর্সা ও সুন্দর করা যায় সে সম্পর্কে জানেন না।আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছি। কারণে পোস্টে আমরা আপনাদেরকে জানাবো ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করার বারটি ঘরোয়া টিপস সম্পর্কে।
আমরা অনেকেই আমাদের সাথে বিভিন্ন অঙ্গ প্রসঙ্গে যত্ন নিয়ে থাকি কিন্তু ঠোঁটের যত্নের নেওয়ার কথা মনে থাকে না
অথচ সুন্দরও ফর্সা ঠোঁট আপনার চেহারা সৌন্দর্য বাড়ি মানুষকে প্রভাবিত করে।ঠোঁট যেহেতু আমাদের সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটা অঙ্গ ।তাই আমাদের ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে ।অসুন্দর ফাটা সুস্থ ঠোঁট নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের লজ্জিত মনে হয় বিবেকে বাঁধে নিজেকে ছোট মনে হয়। সেই জন্য দেরি না করে আজ থেকেই ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু করে দেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করার বারটি ঘরোয়া টিপস
ঠুট ফর্সা ও সুন্দর করার বারটি ঘর টিপস
সুন্দর ঠোটের হাসি আমাদের চেহারার সৌন্দর্য বর্ধিত করে। ঠোঁট ফাটা অথবা শুষ্কবা কালো দাগ থাকলে আমাদের চেহারা সুন্দর লাগে এজন্য আমাদেরকে নিজেদের ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর করার বারটি ঘরোয়াটি সম্পর্কে আলোচনা কর। ফর্সা ও সুন্দর করার বারটি ঘরোয়াটি সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো জানতে হলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন ।
লেবুর রস
ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য লেবু কার্যকারী। লেবুতে কার্যকারী একটি উপাদান রয়েছে যা ব্লিচিং বলা হয় এই উপাদানটি ঠোঁটের কালচে ভাব বা কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। প্রতিদিন নিদ্রা যাওয়ার আগে ঠোঁটে লেবুর রস লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করতে থাকুন তাহলে নিজেই বুঝতে পারবে।
মধু
আমরা সকলেই জানি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে মধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান । মধু ঠোঁটকে কোমল ও নরম করে তোলে মধুর সাথে কোন কিছু অ্যাড না করি সরাসরি ঠোঁটে মধু হালকা করে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুক ।এরপর ধুয়ে ফেলুন এভাবে অভ্যাস তৈরি করুন রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
অলিভ অয়েল তেল
অলিভ অয়েল তেল ব্যবহারে ঠোঁটের কালচে যায় দূর হয়। ঠোঁট ফর্সা ও সুন্দর হয়। অলিভ অয়েলের সাথে চিনি মিক্স করে স্কাব তৈরি করুন ।এরপর ঠোঁটে ব্যবহার করুন ঠোট ফর্সা ও সুন্দর করতে সাহায্য করে।
বিটরুট
বিটরুট ব্যবহার করার দ্বারা ঠোঁট গোলাপি হয়। বিট রুটের রস ঠোঁটে ভালোভাবে লাগাতে হয়। আপনি নিয়মিত এটি ব্যবহার করুন তাহলে আপনার ঠোঁট গোলাপি হবে।
দুধের সর
প্রতিদিন দুধের সর দিয়ে আপনার ঠোঁট ম্যাসাজ করুন । এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেল এটি ঠোঁটকে নরম মসৃণ করেমশ্চারাইজার করে।
গোলাপ জল
ঠোঁট ফাটা দূর করে ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে।প্রতিদিন গোলাপ জল ঠোঁটে লাগাও একটা কথা বলতে ভুলে গেছি গোলাপজল ঠোঁটের মাস্টারাইজার করে। নিয়মিত প্রতিদিন গোলাপ জল ঠোঁটে লাগিয়ে আলতোভাবে মেসেজ করি।
শসার রস
শশুর রস ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। প্রতিদিন নিয়মিত আপনি যদি শসার রস ঠোঁটে ঘষতে থাকেন পিছন এরকম করলে তার ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হবে।
চিনি ও মাখন
চিনি ও মাখনের মিশ্রণে একটি স্কাব তৈরি করুনএরপর সপ্তাহে দুইবার অথবা তিনবার ঠোঁটে ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবে।
অ্যালোভেরা জেল
আপনার যদি ঠোট হাঁটার সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে এলোভেরা জেল লাগিয়ে এলোভেরা জেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটা দূর ঠোঁট নরম হয় গোলাপি হয়।
লিপজেল
আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য লিপজেল ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ জল নিজের একসাথে মিক্স করে ব্যবহার করুন । ঠোঁট সুন্দর ফর্সা করে ঠোঁটফাটা দূর করে চেহারা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
কমলা খোসা
কমলার খোসা আপনার ঠোঁটে লাগাতে পারেন অথবা কমলার শুকনো খোসা গুড়ো করে গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারে। এতে করে আপনি আসা অনুযায়ী ফল পাবেন।
টমেটো পেস্ট
আপনি টমেটো পেস্ট করে এর সাথে ক্রিম লাগাতে পারেন অথবা গোলাপ জলের সঙ্গে মিক্স করে আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন এতে কার্যকরী ফল পাবেন।
ঠোঁট গোলাপি করার ক্রিম
কোন চিন্তা নেই ঠোট ফর্সা সুন্দর গোলাপী করার জন্য বাজারে অনেক প্রসাধনী বের হয়েছে এগুলো অনেক কার্যকারী।
শুনুন তাহলে আজকের এই আর্টিকালের মাধ্যমে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
ল্যাকমে পিল লাভলি
এই ক্রিমটিতে ভিটামিন সি এবং গ্লিসারিন রয়েছে। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে এবং মশ্চারাইজার করে।
বেরোলিন পিলক্রিম
এতে আছে ভিটামিন ই এবং এলোভেরা ।ভিটামিন ই এবং এলোভেরা ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে ঠোঁটের পুষ্টি যোগায়।
নরম করে।
লিপ বাম
ভালো মানের একটি লিপ বাম ব্যবহার করব লিপ বাম ঠোট বিভিন্ন ক্ষতির থেকে বাঁচাবে সূর্যের আলো থেকে বাঁচাবে এবং
মাস্টারাইজার করবেলিপ ।
ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ
ঠোঁট কালো হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে বেশি সময় সূর্যের আলোতে থাকা অর্থাৎ রোদ্রে থাকা। পানি সুন্নতের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। চা কফি পান করার কারণে ঠোঁট কালো হয়। ধূমপানের কারণে ঠোঁট কালো হয় তবে আমাদের বাংলাদেশের মহিলারা সে তুলনায় একেবারে নাই বললেই চলে আর খুবই কম। লিপিস্টিক ব্যবহার করার কারণে ।টুথপেস্ট ব্যবহার করার কারণ।
শেষ কথা
আজকে আমরা এই পোস্টে তাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করি যে ফর্সা ও সুন্দর হওয়া ১২ টি ঘরুয়া টিপ সম্পর্কে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের আত্মীয়-স্বজন পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
লিখার মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকলে মাফ করবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url