এ আই ১০টি সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা

এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বুঝি একটি কম্পিউটার অথবাযন্ত্রের মধ্যে মানুষের মতই চিন্তাশক্তি বুদ্ধি বিশ্লেষণ ক্ষমতা দেওয়ার নামই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা চিন্তাশক্তি । এাই বলতে বোঝানো হয়েছে সহজ ভাষায়

মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে সহজেই অনুকরণ করতে পারে। অন্যভাবে বললে বলা যায় যে এআই হচ্ছে এমন একটি কম্পিউটার বা প্রযুক্তির ব্যবহার এমন হয়ে যায় যা মানুষের মত। মানুষের মত চিন্তাভাবনা বুদ্ধি করে তুলে এবং বিভিন্ন কাজ দক্ষতার সাথে সম্পূর্ণ করতে সাহায্য কর। 

পোস্ট  সূচিপত্রঃ এ আই ১০টি সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে

 ভূমিকা প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি এআইয়ের বারোটি সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে চান বা জানেন না বিভিন্নভাবে জানার জন্য খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই করবেন তাহলে জানতে পারবেন  এ আই য়ের১০ টি সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে আমরা আমাদের মূল আলোচনা শুরু  করি। 

এআই নিয়ে কিছু কথা

 চলুন প্রিয় বন্ধুরা আমরা  এ আই এর বারটি সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে আসি সম্পর্কে কিছু কথা যা আমাদের উপকারে আসবে। আমাদের বাংলাদেশে  এ আই  যেন  আকাশচুমি এ আই মানুষের ব্যবসায়িক কাজ দৈনন্দিন জীবনকে করে তুলছে আরো সহজ। একটি বিশ্লেষণের মধ্যে মাধ্যমে পাওয়া যায় যে বাংলাদেশের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ আই ব্যবহার শিখতে চাই আবার এরকম কিছু মানুষ আছে তারা মনে করে আমাদের জন্য ভালো হবে সুবিধা জনক হবে আবার কিছু মানুষ এরকম আছে যারা মনে করে যে এটা আমাদের জন্য কোনরকম সুবিধা জনক হবে না। বা এটা আমাদের উপরে একটি খারাপ  প্রভাব ফেলতে পারে। 

আমাদের বাংলাদেশ বড় বড় কোম্পানিগুলোতে এর ব্যবহার বেড়ে প্রায় ৯০% হয়ে গেছে । আরে ৯০% মনে করতেছে যে এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এটা ব্যবহার করে গতি বেড়েছে এবং তথ্য গোপন রাখা যায় এই জন্য। মোটকথা এর মাধ্যমে এ সমস্ত কোম্পানিগুলো অনেক ধরনের সুবিধা পাবে। 

এ আই এর ১০ টি সুবিধা

 চলুন তাহলে আমরা দেরি না করে  এআইয়ের বারো বিস্তারিত জেনে নিন। এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সকলের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে বিশেষ করে ব্যক্তিজীবনেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। চলুন তাহলে আমরা দেরি না করে বারটি সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

কাজ করার সক্ষমতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এ আই মানুষের সাহায্য ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারে ২৪ ঘন্টা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কোম্পানির কাজগুলো কোন সময় থামেনা। 

বড় মাপের কাজ করতে পারা 

এ আই বড় মাপের কাজ গুলো করতে পারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ যেমন অ্যামাজন কোম্পানি এছাড়া  বেশ কিছু কোম্পানি আছে যারা এআই ব্যবহার করে তাদের গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী প্রস্তাবনা পেশ করে। এছাড়াও কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে দ্রুত যাচাই বাছাই করার জন্য  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা 

এ আই ব্যবহার করে থাকে।এতটা দ্রুত যাচাই-বাছাই করা মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের ফলে ব্যবসায়িক গতি বৃদ্ধি পেয়েছে । ক্ষমতা গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের অনেকটাই উন্নত হয়েছে

সঠিক ফলাফল ও ভুলের হার কম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এয়াই ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন কাজকর্মগুলোতে সঠিক ফলাফল আসে এবং ভুল ত্রুটিও কম হয়। 

মানুষ একটা সময় কাজ করতে করতে ক্লান্তি বা অসাবধানতার কারণে বিভিন্ন ভুল ত্রুটি হয়ে যায় এটা স্বাভাবিক। 

 কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ক্ষেত্রে এটা হয় না । তবে আই দিয়ে সঠিকভাবে নির্ভুলভাবে কাজ করাতে হলে আপনাকে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে । এটা তৈরি করার সময় ভালো এবং উন্নত মানের অ্যালগরিদম দিতে হবে। এবং যথেষ্ট ভালো মানের প্রশিক্ষণ ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নিয়মিত এটাকে সবদিক দিয়ে নজরদারি করতে হবে। 

উন্নত মানের নিরাপত্তা

এর একটা দিক খুবই ভালো সেটা হলো যে সব সময় পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং বিপদ সংকেত পাওয়া যায় সে অনুযায়ী বিপদ শনাক্তন করা যায়। এই মেশিনটি স্বাভাবিক কার্যক্রম ও মানুষের আচরণ তার চলাফেরা সে কি কোন ক্ষতি করতে চাচ্ছে কি চাচ্ছে না তা শনাক্ত করা যায় । এখানে উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে গাড়ির চালককেও সতর্ক করে যে সে ঠিক মত লাইন লেন্থের পড়ে আছে কিনা এবং সতর্কতার সাথে সে ড্রাইভ করছে কিনা সেটাও সতর্ক করতে পারে। 

তাছাড়া বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে মানুষের  পরিবর্তে এআই রোবট পাঠানো হয় বা অনেক সময় বৌমা বিস্ফোরণের জন্য বা নিষ্ক্রিয় করার জন্যএ আই  রোবট পাঠানো হয়। 

 উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে জেনে নেই উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু কথা এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এ আই অনেক ধরনের ডাটা বিশ্লেষণ করতে পারে। আবার সেই তথ্য ব্যবহার করে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারে। এত করে কম কোম্পানির গ্রাহকদের নিত্যনতুন ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করে। 

পক্ষপাতিত্ব করে না

 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  এআই পক্ষপাতিত্ব করে না। অর্থাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে কোন কাজ করে না । ডেটা এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করি সে কাজ করে। এই সিস্টেম অনুযায়ী পক্ষপাতিত্ব কমে যাবে। তবে অ্যালগোরিদম বাড্ডাটাতে যদি পক্ষপাতিত্ব সেট করা থাকে তাহলে পক্ষপাতিত্ব করবে আর যদি না সেট করা থাকে তাহলে কক্ষপথিত করবে না।তবে পক্ষপাতিত্ব সেট থাকলে ভুল ফলাফল আসাটাই স্বাভাবিক। 

বিচারহীনতা বা আবেগ

তুলুন আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই বিচারহীনতা আবেগ প্রবণতা আছে কিনা সে সম্পর্কে। এ আই এর  আবেগবা বিচার হীনতা নেই যে কারণে সে শান্ত থাকে। এবং কাজের সময় সে শান্ত থাকে। উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন গ্রাহক সেবার যে যন্ত্রাংশগুলো রয়েছে সেগুলো কখনো উত্তেজিত হয় না। কোন বিচার-বিশ্লেষণ করো না এই জন্য গ্রাহকরা সহজেই নির্ভুলভাবেই সেবা পায়। 

নতুন উদ্ভাবন

 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এটা একটি নতুন উদ্ভাবন কিন্তু এটা জনপ্রিয়তা অনেক উপরে এবং সকলকে এটা আশার আলো দেখিয়েছে । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআই শিল্পায়নে অনেক উন্নতি নিয়ে আসছে। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসছে যা মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং নিরাপদ করবে।

দক্ষতা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি

আসুন আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেই দক্ষতা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।এ আই এর ব্যবহার মানুষের জীবনকে আরো সুন্দর সহজ সচ্ছলকরে তুলছে। এটি শুধু কাজকর্মের গতি বাড়াচ্ছে না উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দক্ষতা ও বাড়ছে অভিজ্ঞতাও বাড়ছে। এ আই ব্যবহারের ফলে আমাদের সময় আশ্রয় হচ্ছেকাজের মান বাড়াতেও সাহায্য কর। এআই ব্যবহার করে মানুষ সময় বাঁচাচ্ছে যার ফলে মানুষ নতুন নতুন কিছু আবিষ্কার করার চিন্তাভাবনা করতে পারছি। 

এ আই এর দশটি অসুবিধা

 চলুন আমরা এই সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে জেনে। সুবিধা যেরকম অসুবিধাও সেরকম   এআইয়ের সুবিধা যেরকম বড় মাপের রয়েছে অসুবিধা ও বড় মাপের হওয়াটাই স্বাভাবিক।।  এখানে একটা লোক নিয়োগ বিষয় হচ্ছে যে  এ আই ব্যবহার কেমন হবে হচ্ছে অর্থাৎ একটি প্রতিষ্ঠানে এই টুলস গুলোকে কোন নিয়মে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর অসুবিধা সম্পর্কে নিজে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। 

সৃজনশীলতার অভাব

আসুন আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই ।  এ আই দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব কিন্তু সৃজনশীল কোন জিনিস তৈরি করা সম্ভব না। এ আই যা শিখানো হয়েছে   শুধু তাই জানবে। নতুন কিছু তৈরি করা বা সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেনা যা মানুষ পারে। 

অনুভূতি নাই অভাব

এই প্রযুক্তির মধ্যে কোন অনুভূতি থাকেনা যেমন মানুষের মধ্যে থাকে।  অনুভূতি বুঝতে পারে কিন্তু  এ আই অনুভব করতে পারে না। মানুষের মধ্যে যেমন অন্যের কষ্ট বোঝা, অনুভূতি আছে।  এ আই এর মধ্যে সেটা নয়।। 

মানুষের দক্ষতা হারানো

এ আই এর মাধ্যমে যে কাজগুলো হবে সে কাজগুলো করার দ্বারা মানুষ তাদের  দক্ষতা হারাবে কেননা এ সমস্ত কাজগুলো যখন মানুষ বাদ দিয়ে প্রযুক্তি দিয়ে করানো হবে তখন ওই কাজগুলো মানুষের করতে পারবেনা না করার ফলে আস্তে আস্তে এক সময় তারা তাদের দক্ষতা হারিয়ে ফেলবে। একটা সময় ধীরে ধীরে এরকম হবে যে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হারিয়ে ফেলা এবং সৃজনশীল বিষয়গুলোকে হারিয়ে ফেলবে। 

অলসতা বৃদ্ধি ও উৎপাদন কম

আসুন আমরা এই পোস্ট থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের মধ্যে অলসতা বাড়বে এবং উৎপাদ কমে যাবেএ আই অতিরিক্ত ব্যবহার করা দাঁড়া। সব সময় এই সঠিক কাজ করবে সেটা ভাবাও ঠিক না বা সে সবসময় দ্রুত কাজ করবে এটা ভাবা উচিত না। অনেক সময় এ আই ব্যবহার করেও কাজ যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে।  যার কারণে উৎপাদনশীলত কমে যেতে পারে। 

চাকরি হারানো

 এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার কারণে কর্মীর প্রয়োজন কম পড়বে আস্তে আস্তে কর্মী নিয়োগ কমে যাবে অনেকে চাকরি হারাবে বেকার হয়ে পড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে এ আই ব্যবহার করার দ্বারা কিছু মানুষের চাকরি চলে গেলেও আবার কিছু মানুষকে নতুন কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া যাবে। 

উচ্চশক্তি

 এই আয়ের জন্য বেশি শক্তি সম্পন্ন প্রয়োজন যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হয়। 

ভুল তথ্য 

এাই ভুল তথ্য দিতে পারে।  কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেই সঠিক টাই দেবে তার মানে এটা নয় যে সে ভুল তথ্য দিবে সেটাও মাঝে মাঝে দিতে পারে। পরিসংখ্যান মেশিন মাঝে মাঝে ভুল তথ্য দিতে পারে। এ আই এর ভুলের কারণে নতুন ঝুঁকির সম্মুখীন করতে হয়েছে নিউইয়র্কে দেখ আইনজীবী। 

বৃহত্তর ঝুঁকিপূর্ণ

এ আই ৭ দিন ২৪ ঘন্টা কাজ করতে পারে। এবং বড় মাপে চলতে পারে এজন্য ছোট্ট একটা ভুল বড় সমস্যার কারণে হতে পারে ঝুঁকিও বেশি হতে পারে। 

শেষ কথা

যুক্তির ব্যবহারে উপকারিতা এবং অপকারিত আছে।সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে আপনাদের যাদের এ বিষয়গুলি ভালো লাগবে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধু-বান্ধব কিছু শেয়ার করবেন মূল্যবান মন্তব্য কমেন্টে জানাবেন আমাদেরকে বেশি বেশি লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন।

 মানুষ মাত্রই ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ।।