কুরবানীর ফজিলত ও কুরবানী কাদের উপরে ওয়াজিব

 


প্রিয় পাঠক আমরা মুসলমানরা সকলে কোরবানি সম্পর্কে জানি, কুরবানীকরা একটা ইবাদত এটা আমরা সকলেই জানি এজন্য এবাদতটা যাতে সঠিকভাবে হয় আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী হয়। এইজন্য আমরা কৌতুহাল থাকি জানা সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে একটা ভীতিক কাজ করে। যে কুরবানী করব একটাই ইবাদত  এটা কিভাবে করলেন এবাদত হবে আর আল্লাহতালা কবুল করবে । কোরবানি করার আগেই আমাদের এরকম প্রশ্ন  থাকে বিভিন্ন আলেমদের কাছে যায় হাদিসের কিতাব দেখি  নেটে সার্চ দিয়ে বিভিন্নভাবে কোরবানির বিষয়গুলো খুঁজি। যারা এই বছর কুরবানী করতে চান এ



 কুরবানীর ফজিলত কোরবানির ওয়াজিব সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা এই আর্টিকেলটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে পুরোপুরি হবে হাদিস কোরআনের আলোকে কুরবানীর বিস্তারিত সমস্ত বিষয় জানতে পারবেন। 


পোস্ট সূচীপত্রঃকুরবানীর ফজিলত ও কুরবানী কাদের উপর ওয়াজ

ভূমিকা

 আসসালামু আলাইকুম ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা এই বছর কুরবানী দিতে চাচ্ছেন অর্থাৎ২০২৫ সালে তারা আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলে কর্ণপাত করলে কুরবানীর পরিপূর্ণ বিষয় খুব ভালোভাবে জানতে পারে। 

কুরবানীর ফজিলত

চলুন আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন কুরবানীর ফজিলত সম্পর্কে।কুরবানীর ফজিলত অনেক যা বলে শেষ করা যাবেনা। 


  • কুরবানীর দিনে কুরবানী করলে  পশুর শরীরে যতগুলো কুশন থাকে প্রত্যেকটা পশমের পরিবর্তে একটা নেকি পাওয়া যায়।

 

  • কোরবানির দিনে কোরবানি সবচাইতে বড় এবাদত। 


সবার আগে যেটা কোরবানি করবেন একমাত্র আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহকে খুশি করার জন্য লোক দেখানোর জন্য নয়।কুরবানী করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য। 

 কুরবানী কার উপর ওয়াজিব

কুরবানী করার জন্য  গরু ছাগল ভেড়া দুম্বা মহিষ উট  কোরবানি করতে পারেন। এই প্রশ্নগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা নেই যে এই প্রশ্নটা জবাব করতে হবে বা কোরবানি করতে হবে। 


জিলহজ মাসের ১০ই থেকে ১২ই জিলহজের সন্ধ্যা পর্যন্ত কোরবানির দিনগুলোতে যার নিকট সদকায়ে ফিতর বা  ফিতরা 

হওয়া পরিমাণ অর্থ সম্পদ থাকে তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। 


কোন ব্যক্তি যদি মুসাফির হয় তবে তার জন্য কারণ সে মুসাফির অর্থাৎ সে সফলত থাকার কারণে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হুকুম তার কুরবানী করা রাজিব না। তারপরও সে যদি  সম্পদশালী ব্যক্তি হয় বা সমর্থ্য থাকে এবং ইচ্ছা পোষণ করে সে কুরবানী করব চাইলে সে করতে পারে। 


কুরবানী করলে শুধুমাত্র নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয় অর্থাৎ নিজের নামে নিজে কুরবানী দিলে ওয়াজ হয়। তবে কেউ যদি বাবা মা সন্তান সন্ততি স্ত্রী দাদা-দাদি নানা-নানী নামে কুরবানী দেয় বা পরিবারের যে কোন সদস্যর নামে কুরবানী তাহলে কুরবানী হবে কি সেটা ওয়াজিব হবে না নফল হবে। 


যার উপরে কুরবানী ওয়াজিব না অর্থাৎ তার নেশা পরিমাণ অর্থ নাই  কার কুরবানী করা ওয়াজিব না । তবে এরকম ব্যক্তি যার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব না। কিন্তু সে কোরবানির নিয়ত করে পশু কিনে ফেলে তবে তার জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব । 


কেউ যদি কোন ও উদ্দেশ্য করে কুরবানী করার মান্নত করলে সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ হলে তার উপরে কুরবানী করা ওয়াজিব প্রায় সে গরিব হোক বা ধনী হোক। যেমন ধরেন আপনি কোন উদ্দেশ্যে মান্নত করছেন যে আমার এই জিনিসটা হয়ে গেলে আমি কুরবানিতে তবে ওই উদ্দেশ্য পূরণ যদি হয়ে যায় তাহলে আপনাকে কুরবানী করতে হবে তাই আপনি ধনী হন 

 অথবা  গরিব হন না কেন। 


যার উপরে কুরবানী করা বাজি কিন্তু সে কুরবানী করতে পারেনি কুরবানীর দিনগুলো অতিবাহিত হওয়ার পরে তাকে সেই পরিমাণ টাকা যে পরিমাণ টাকা একটি কুরবানী দিতে খরচ হয় সেই পরিমাণ টাকা  সদকা করা ওয়াজিব। 

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য কুরবান

 একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্টি করার জন্য কোরবানি দিতে হবে লোক দেখানো নয়। একমাত্র আল্লাহ তায়ালাকেই সন্তুষ্ট করার জন্য কুরবানী করতে এই জন্য যে কুরবানী গোস্ত চামড়া রক্ত পৌছায় না। বরঞ্চ আমাদের তাকওয়া অর্থাৎ কোরবানিটা শুধুমাত্র আল্লাহ তার সন্তুষ্টি করার জন্য। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার জন্য কুরবানী করলে এই কুরবানী আল্লাহ তায়ালার কাছে। (সুরাহাজ আয়াত৩৫ )


আল্লাহতালা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ  সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে সম্বোধন করে বলছি যে হে নবী আপনি বলে দিন আমার নামাজ আমার জীবন আমার কুরবানী একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য।( সূরা আনাম আয়াত ১৬২)

প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব। 

কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা দুরস্ত 

আসুন আমরা  এই পোস্ট থেকে জেনে নিন কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা দুরস্ত হবে গরু মহিষ সার উট দুম্বা গাভী বকরি পাঠা খাসি ভেরি এই ধরনের গৃহপালিত পশু দ্বারা বা জন্তু দ্বারা কোরবানি করা দুরস্থ হবে। 

কোরবানির পশুর বয়স

চলুন তাহলে এই  পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে কুরবানীর পশুর বয়স কত হতে হবে কুরবানী করার জন্য। বকরি খাসি ভেড়া ভেড়ীর জন্য দুম্বা কমপক্ষে পুরনো এক বছর। বয়স হতে। তবে ভেড়া ভেড়ি দুম্বা এদের বয়স কিছু কম হলেও চলবে তবে তাদের শারীরিক গঠন এক বছর বয়সের মতো হতে হবে। শারীরিক গঠন দেখে ছোট মনে হবে না দেখে মনে হবে যে এক বছর বয়সেরই লাগছে তাহলে কুরবানী করা ওয়াজিব হবে অন্তত ছয় মাস বয়স হতে হবে । বকরির ক্ষেত্রে এরকম নয় পুরো এক বছর বয়সী হতে হবে এক  বছরের কম বয়স হতে পারেনা। 


গুরু মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে।  উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। 

কুরবানীর পশুর স্বাস্থ্য

শুনুন তাহলে আমরা জেনে নিয় কুরবানীর পশুর স্বাস্থ্যগত দিক গুলো সম্পর্কে । কুরবানীর পশুর স্বাস্থ্যগত দিক সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো। 


কুরবানীর পশু ভালো এবং হস্তক্ষেত্র সুস্থ হওয়া উচিত। 

যে প্রাণী ল্যাংড়া অর্থাৎ যে প্রাণী ৩ পায়ে চলে এক পা মাটিতে ফেলতে পারে না বা রাখতে পারেনা । ধরেন মাটিতে রাখতে পারে কিন্তু ভর দিতে পারে না । এইরূপ প্রাণী কুরবানী করা জায়েজ নয়। 

যে বসুর দাঁত নাই

 আসুন আমরা এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নেই যে পশুর  দাঁত নাই সেই পশু দিয়ে কুরবানী করা যাবে কিনা । যে পশুর একটি দাঁত নাই  এই পশু দিয়ে কুরবানী করা জায়েজ হবে না। তবে পশুর যদি দাঁত ছাড়াই খেতে পারে। ঘাস আউর খেতে পারে সক্ষম হয় তবে কুরবানী করা  দুরস্ত। 

পশুর  কান না থাকলে

যে পশুর  কান জন্ম থেকেই নয়  সেই পশু কুরবানী করা জায়েজ হবে না। হ্যাঁ তবে যদি কাম ছোট হয় তবে কুরবানী যাই হয়। 

 কুরবানী পশুর সিং

 আসনে পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই কুরবানী পশুর সিং না থাকলে করা জায়েজ আছে কিনা। কুরবানি পশুর সিং যদি গোড়া থেকে ভেঙে যায় সেই পশু দিয়ে কুরবানী করা যায় কিনা। তবে গরুর সিং ওঠেনি বা শিং আছে কিন্তু সামান্য পরিমাণ ভেঙেছে তবে এই পশু কুরবানী করা যাবে। 

কুরবানীর পশু অন্ধ

যে প্রশ্ন দুই চোখে দেখেনা বা এক চোখে দেখে না অথবা এক চোখে বেশিরভাগই দেখতে পায় না তাহলে  পশু দিয়ে কোরবানি করা ঠিক হবে না। 

কুরবানীর পশুর কান বা লেজকাটা

 যে কোরবানির পশুর কান বা লেজকাটা যে কোরবানির পশু কান অথবা লেজ একটিতে অংশ কাটা সে কুরবানী পশু কোরবানি দূর হতে হবে। 

কুরবানীর পশু ক্রয় করার পরে দোষ

 কুরবানী পশু ক্রয় করার পর বাড়িতে আনার পরে যদি দেখে পশুর  কোন রকম দোষ বা সমস্যা রয়েছে তাহলে সে পশু খোলা যাবে না। আরেকটি পশুর ক্রয় করে কুরবানী দিতে হয়। 

গর্ভবতী  পশু কোরবানি

গর্ভবতী পশু কুরবানী করা যায়। পেটের বাচ্চা জীবিত করলে সেটাও কোরবানি করা যায়নি তবে প্রসব নিকটবর্তী হয়ে গেলে সেরূপ গর্ভবতী পশু কুরবানী করা মাকরুহ হবে। 

বন্ধ পশু কুরবানী করা জায়েজ আছে। 

শেষ কথা

 আমরা অনেকেই জানি কুরবানীর ফজিলত ও ওয়াজিব সম্পর্কে । আমরা মুসলমান কোরবানিতে মনের প্রাণী বিশ্বাস করি এজন্য যাদের উপরে কোরবানি  ওয়াজিব আমরা তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কুরবানী দেবো।  আমাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে এ পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন । সকলকে ধন্যবাদ সকলের জন্য শুভকামনা রইল আপনার সকলের ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়বেন ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন।




















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url