ব্রণ হওয়ার কারণ ও ৯ টি ঘরোয়া প্রতিকার
সকলের মনে একটাই প্রশ্ন ব্রণ কেন হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক হলে এমন কোন ছেলে অথবা মেয়ে নাই যে ব্রণ হয় না।
ব্রণ হওয়া মানেই সমস্ত মুখে দাগ ফুসকুড়ি হওয়া এবং ব্যথা করা । ব্রোন হট একটা কমন সমস্যা এটা বিভিন্ন
কারণহতে পারে। ব্রণ হওয়ার কারণ ও বারোটি ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলে
জানাবো এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আমাদের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
করবেন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন এ সম্পর্কে।
ব্রণ কেন হয় এর কারণ
চর্ম বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানা গেছে যে মানুষের চেহারায় নানান ধরনের ফুসকুড়ি ব্রণ দেখা দেয়।
ঘাম এবং তার দ্বারা চেহারায় লেগে থাকা ময়লা গুলো জমে দুর্গন্ধ হয় । ঘাম ময়লা আটকে গিয়ে সিস্ট জমে মুখে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে চেহারায় ফুসকুড়ি মত দেখা যায় তারপর ব্রনের আকার ধারণ করে এবং ব্যথা হয় তারপর দাগ হয়ে যায় অনেকের মুখে তো এই দাগ থেকেই যায় ভালো হয় না। ব্রণ হওয়ার এই সমস্ত কারণ ছাড়া বিভিন্ন কারণ আজ।
ব্রণ হওয়ার কারণ
আসুন আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই ব্রণ হওয়ার বেশ কিছু কারণ সম্পর্কে। যে বিষয়ে জানলে আপনারা উপকৃত হবে যাদের হয়েছে তারা উপকৃত হবে এবং যাদের হয়নি তার আগে থেকে সতর্ক হতে পারবে। চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা পোষ্টের মাধ্যমে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ত্বকের অযত্ন অবহেলা
প্রতিদিন আমাদের ব্যস্ততার কারণে অনেক অনেক ছোটাছুটি হয় যার কারণে ঘেমে ময়লা জমে এর জন্য প্রতিদিন আপনার চেহারা রাত্রে এবং সকালে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে দুইবার ত্বক পরিষ্কার করবে না হলে ত্বকের মধ্যে ময়লা আটকে ছিদ্র আটকে যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে। মেকআপ করার পরও এই কাজটি করবেন অর্থাৎ পরিষ্কার করে ফেলবে। এজন্য প্রতিদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে ওঠার পর ফেসওয়াশ বা বিভিন্ন প্রসাধনই ব্যবহার করে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নেবে।
জীবাণু সংক্রমণ হওয়া
জীবাণু সংক্রমণ থেকে ত্বককে বাঁচাতে হলে প্রতিদিন ফেসওয়াশ বা জেল দ্বারা ত্বক পরিষ্কার করলে হবে না। আপনি যদি সপ্তাহে দুই দিন অথবা দিন দিন আপনার ত্বক স্কাব করেন । চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটা করবেন। ত্বক স্কাপ করলে জীবন হামলা অনেকাংশে কমে যায়।
হরমোন পরিবর্তনের কারণ
ত্বক ব্রণ দেখা দেয় হরমোন কমে গেলে হরমোনের কারনে ব্রণের সমস্যা দেখা এই সমস্যা দেখা দিলে আপনি দ্রুত কোন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেবে।
টেনশনের কারণ
মানুষের টেনশন চেহারায় তৈলাক্ত ভাব বিভিন্ন দুশ্চিন্তার কারণে ত্বকের ব্রণ ভর্তি হয়ে যায়।এজন্য সব সময় চিন্তামুক্ত এবং চেহারায় তৈলাক্ত ভাব হলে সেটা দূর করতে হবে বিভিন্নভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
কম ঘুম এবং ঘাম
ঘুম কমের কারণেও ব্রণ হয় এজন্য একজন মানুষকে স্বাভাবিকভাবে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।এতে শরীরে শিথিলতা আসে এবং হর মনেরও এক্সারসাইজ হয়ে যায়।ঠিকমত ঘুমালে শরীর ফ্রেশ থাকে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হয়।এবং আপনার চেহারা উজ্জ্বল এবং ঝলমলে ফ্রেশ লাগে। আর একটা বিষয় আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত ঘামের কারণেও ব্রণ হয়।এজন্য যারা বেশি ঘামেন রৌদ্রে কাজকর্ম করে থাকেন বা ব্যায়াম হাটাহাটি করার কারণে শরীর ঘেমে যায়তারা ঘামার সাথে সাথেই ঘামটা পরিষ্কার গামছা বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলবেন এবং মুখ ধৌত করে নেবেন।কারণ অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকে ময়লা জমে দুর্গন্ধ বের হয় যার ফলে সিদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় এবং মুখ ভর্তি ব্রণ বের হয়ে যায়। এজন্য ত্বক ঘামার সাথে সাথেই ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা
মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। আপনি যদি সঠিক মেকাপ ব্যবহার না করে তাহলে আপনার ত্বকে ব্রণ ছেয়ে যাবে। আপনি যে মেকআপ টা ব্যবহার করেন তা আপনার সাথে মুখের সাথে লেগে থাকে আপনার ত্বকের ক্ষতি করে এবং সেখান থেকেই গ্রহণ বের হয়। এজন্য আপনার ত্বকের প্রকৃতি অনুসারে আপনি মেকআপ বাছাইপর অর্থাৎ আপনার ত্বকে যেটা শুট করবে সেই মেকআপ টা ব্যবহার করুন।মেকআপ করার পর অবশ্যই রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেকআপ ফুটিয়ে ফেলে পরিষ্কার করে ফেলবেন। নয়তো আপনার ত্বকের ক্ষতি হবে এবং সেখান থেকে ব্রণের জন্ম হবে।
ব্রনের৯ টি ঘরোয়া প্রতিকার
প্রিয় পাঠক খুব কম মানুষই জানেন যে ব্রণ ত্বক নষ্ট হয়ে যায় চেহারার উজ্জ্বলতা সুন্দর জুতা বিনষ্ট করে। আপনার হয়তো জানেন না আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয় এবং সেখান থেকেই ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় সেই ব্যাকটেরিয়া আপনার ত্বকে আক্রমণ করে এবং আক্রমণের ফলে আপনার ত্বকের ভেতর থেকে পুজ জমাট বাঁধে। কিভাবে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে ব্রনের আকার ধারণ করে এবং এক সময় ব্রণে পরিবর্তন হয়।বিশেষ করে মন থেকে রক্ষা পেতে মেয়েরাই বেশি ভাবনা চিন্তা করে।
ব্রণ থেকে বাঁচার জন্য আমরা কিছু পথ অবলম্বন করব সেটা বাজারের কোন কসমেটিকস বা প্রসাধনী না। ঘরোয়া উপায়ে ব্রণের ৯টি প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। জানতে হলে আপনারা আমাদের এই পোস্টটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে আশা করছি। কেননা এই প্রশ্নগুলো আপনারাই করে থাকে যে আমার ব্রণ হয়েছে প্রাণটা কিভাবে ভালো করব আপনাদের মনের মধ্যে থাকে আজকের এই আর্টিকালের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের মনে গাঁথা প্রশ্নগুলোর উত্তর যথাযথভাবে পেয়ে যাবে। আপনাদের মনে কত প্রশ্নের উত্তর গুলো পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আর্টিক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাদেরকে মনোযোগ সহকারে চেয়ে থাকতে হবে। তাহলে আপনারা আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
ব্রণের দাগ দূর করার ৯ টি ঘরোয়া প্রতিকার
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি ব্রণের দাগ দূর করার বারটি ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা জানতে চাইলে চোখ রাখুন।
মুলতানি মাটি ব্যবহার
আপনার চেহারায় অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবের কারণে মুখ ভর্তি গ্রহণ হয়। এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আপনি মুলতানি মাটি পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি অনেক উপকারী মুলতানি মাটির ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবটা দূর হয়ে যায়। আপনার চেহারা ঘামের মাধ্যমে যে তেলটা বের হয় সেটা বন্ধ করে দেয়।
১শশার রস
সুসার রস ব্যবহার আপনি করতে পারেন বাইরে বাইরে থেকে বাসায় আসার পর শসার রস দিয়ে আপনি মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।এমনকি আইস ব্যবহার করতে পারেন ।
২চন্দন কাঠের গুড়ো ও কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুড়ো এই দুটো মাধ্যম ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকারী দুইটি প্রসাধনে। এই দুইটা মিশ্রণ একত্রিত করে ব্যবহার করার নিয়ম আছে এই দুইটা একত্রিত প্রথমে মিক্স করতে হবে সমপরিমাণ নিয়ে।
এই দুই দ্রব্যের মধ্যে পরিমাণমতো পানি দিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে ।তারপর ত্বকের যে সমস্ত জায়গাগুলোতে ভ্রমণ হয়েছে ওই জায়গাগুলোতে লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে
স্থানগুলো ভালোভাবে ধরে নিতে হবে। এই নিয়মে ব্যবহার করলে শুধু ব্রনি দূর হবে না দাগও ভালো হয়ে যাবে।
৩মধু ও আপেলের মিশ্রণ
চলুন তাহলে জেনে নিই আপেল ও মধু মিশ্রণে ব্রণের জন্য কতটুকু কার্যকারী। আপেল মধু একত্রিতে পেস্ট করে ব্রণে ব্যবহার করলে সবচাইতে বেশি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে ব্রণ দূর করতে।এই দুইটি দ্রব্য একত্রিতে পেশ করতে হবে প্রথমে একটি আপেল পেস্ট করে নিতে হবে তারপর ৫ থেকে ৭ ফোটা মধু মিক্স করতে হবে।এরপর ত্বকে লাগাতে হবে তারপর বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার খুব ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।সপ্তাহে ৪-৫ বার ব্যবহার করবে এর কার্যকারিতা বুঝতে পারবে।
৪তুলসী পাতা ব্যবহার
তোকে ব্রণ হলে তুলসী পাতা রস করে তোকে মাখতে হবে এবং সেটা শুকিয়ে যাওয়ার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই নিয়মে আপনি যদি ব্যবহার করেন তাহলে ভালো ফল পাবেন। তুলসী পাতা একটি আয়ুর্বেদিক এই জন্য এর কার্যকারী ক্ষমতা অনেক বেশি।
৫গোলাপ জল লেবু ও জল কাঠের গুড়ো
আসুন আমরা এই কষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন প্রথমে চন্দন কাঠের গুঁড়ো গোলাপ একত্রিতে পেস্ট করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর দুই তিন চার ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে দিন। অনেক মানুষ আছে যাদের গোলাপ জল শুট করে না এটা স্বাভাবিক এজন্য এটার পরিবর্তে মধু দিবেন । এই মিশ্রণটি আপনার চেহারা থেকে পূরণের দাগ বা ব্রণ দূর করবে পাঁচ ছয় সপ্তাহের মধ্যে।
৬ডিমের সাদা কুসুম অংশ
ডিমের সাদা অংশ বা সাদা কুসুম ব্রণের জন্য খুবই ভালো আপনি রাত্রে গ্রহণের অংশে লাগাতে পারে তার সাথে লেবু ঝুক্ত করে চেহারায় লাগাতে পারেন এর দ্বারা আপনি খুব ভালো ফল পাবেন। ডিমের সাদা কুসুম ও লেবুর যদি ফোটা রশ মিশিয়ে আধা ঘন্টা এক ঘন্টা রেখে দিয়ে চলতে পারে।
৭ চালের গুড়ার মিশ্রণ
তো অপরিষ্কারহওয়ার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। ব্রণ দূর করতে হলে ত্বক পরিষ্কার রাখতে। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য এক টুকরো পেঁপে পেস্ট করে নেবেন তার সাথে লেবুর রস এবং এই অনুযায়ী পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো একত্রে মিক্স করতাম হবে। এ মিশ্রণটি মুখের সাথে সাথে পুরো শরীরে লাগাইতে হবে১৫-২০ মিনিট আলতোভাবে মাসাজ করার পর গোসল করে নিতে হবে। পেটে ছাড়া বা পেঁপে না থাকলে অসুবিধা নেই আপনি চাইলে এখানে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতে পারে।
৮পুদিনা পাতার রস
আপনাদের প্রশ্ন অতিরিক্ত গরমে ব্রণ কিভাবে ভালো করা যায়। এই অতিরিক্ত গরমে ব্রণ ভালো করতে হলে পুদিনা পাতার পেস্ট করে ব্রণের অংশগুলোতে লাগাতে হবে। ব্রণের জন্য অনেক উপকারী। কিভাবে আপনি মোটামুটি বিশ মিনিট রাখবেন তারপর ধুয়ে ফেলবেন আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।
৯ কিভরক্ত চন্দন ও আনারসের খোসা
রক্ত চন্দন ও আনারসের খোসা পেস্ট করে দুটোকে একত্রিতে মিশিয়ে। এই দুইটি মিশ্রণের মধ্যে দুই তিন চামচ দুধ দিয়ে দিন অথবা টক দই দিতে পারে এরপর মিক্স করে পেস্ট তৈরি। মুখে মাসাজ করার পর কিছুক্ষণ রেখে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করুন তাহলে ব্রণ সহগ গ্রহনের কাজ দূর হবে।
শেষ কথা
ব্রণ কারণ ও নয়টি ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে যে আলোচনা গুলো করা হলো। এই আলোচনা গুলো যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এ থেকে উপকৃত হবে যাদের ব্রণ হয়নি তারা উপকৃত হবেন এবং যাদের হয়েছে তারাও এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হবেন যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে। এবং আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের কাছে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন আমাদেরকে সাপোর্ট করবেন যাতে আমরা আপনাদেরকে বিভিন্ন বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি আর্টিকেলের মাধ্যমে।
ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url