জ্বর ঠোসা কি জর ঠোসা কাকে বলে

 


আমাদের জীবনযাত্রায় কত কিছু সম্মুখীন না হতে হয় আমাদেরকে ছোট বড় সব রকমের সমস্যা অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয় আজকে  আমরা আপনাদেরকে এই প্রশ্নের মাধ্যমে জানাতে চাচ্ছি  জ্বর ঠোসা বা জ্বর সোটা সম্পর্কে। এ রোগটা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত আছি কেননা কেমন কোন মানুষ নাই যে তার জীবনে একবার দুইবার হোক এই রোগটা হয়নি। আর এটা একটা ভাইরাস কি জন্য এই রোগটাকে হেলাফেলা না করে, একটু গুরুত্বসহকারে নেওয়া দরকার আপনাদের কারো এই রোগটা হলে বা ভাইরাসটা হলে ছোটখাটো মনে করে উড়িয়ে দেবেন না। এই রোগটার



 মানুষ অন্ধ হতে পারে। প্রতিবছর মানুষ যে পরিমাণ অন্ধ হয় তার একটা অংশ যার  জ্বর ঠোসা বা জ্বর সোটার কারণে ঘটে থাকে। এটার ভাইরাস যৌনাঙ্গেও ছড়িয়ে পড়ে যার ওষুধ এখনো  বিশেষজ্ঞরা বের করতে পারেনি। যদি শুদ্ধ জন্ম নেওয়া বাচ্চা বা নবজাতক কারো মধ্যেই ভাইরাস দেখা দেয় তাহলে তার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এজন্য আমরা এটাকে হেলাফেলা ভাবে না দেখে যথাসাধ্য সতর্কতা অবলম্বন।

পোস্ট সূচীপত্র

 ভূমিকা 

প্রিয় পাঠক চলুন আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন জ্বর ঠোসা সম্পর্কে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আপনারা আমাদের এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ রাখবেন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন এই প্রশ্নের বিষয় সম্পর্কে চলুন তাহলে দেরি না করে আমরা আমাদের আলোচনা শুরু।

 জ্বর ঠোসা কি

চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই জ্বর ঠোসা সম্পর্কে জর ঠোসা কি  এটি একটি ভাইরাস এটি মানুষের কাছে অপরিচিত হাপিস সিমপ্লেক্স এটি ছোঁয়াচে এবং যেকোনো শরীরের যেকোনোভাবে প্রবেশ করতে পারে। 

জ্বর ঠোসা কেন হয়

শুনুন আমরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেবো জ্বর ঠোসা কেন হয় এই সম্পর্কে আমরা  যারা জানি না  মনোযোগ সহকারে এই টপিক্স টি পড়বো। চলুন তাহলে আর বিলম্ব না করে এই বিষয়টি জেনে নিন।

 

জ্বর ঠোসায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে এটা ছড়াতে পারে মুখ দ্বারা ব্যবহার করা জিনিস যেমন গ্লাস বা কোনো পাত্র অথবা লালারস্পর্শে আসলে জ্বর ঠোসা ছড়াতে পারে।


জ্বর ঠসাই আক্রান্ত ব্যক্তি যদি তার মুখে অথবা যেই স্থানে জর্ঠোসা হয়েছে সেখানে হাত দেয় তারপর সে হাত অন্য কারো মুখে স্পর্শ করে তাহলে সে ব্যক্তির জ্বর ঠোসা হয়ে যাবে।


কোন ব্যক্তি যদি জ্বর ঠোসা নিয়ে কারো যৌনাঙ্গে মুখ স্পর্শ করে তাহলে সেই যৌনাঙ্গে জ্বর ঠুসার ভাইরাস আক্রমণ করে 

এবং যৌনাঙ্গে জ্বর ঠোসা হয়। 


 জ্বর ঠোসার ভাইরাস একবার শরীরে প্রবেশ করলে সেটা আর বের হয় না থেকে যায়।  এই কারণে অনেক মানুষের প্রায়ই হতে থাকে। ভালো হয় কিছুদিন পর আবার হয়। আবার কারো কারো আছে যাদের সময় পর হয় বা একবার দুবার হয়ে আর হয় না। 


এ ভাইরাসটি জেগে ওঠার বিশেষ কারণ হচ্ছে শরীরেরও প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। যেমন ঠান্ডা লাগা বা ঠান্ডা লাগার কারণে জ্বর হওয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে ভাইরাস আবার জাগ্রত হওয়া কারনেও জ্বর ঠোসা হতে পারে। এটা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন রোদ লাগার কারণে কোন কারণে ক্লান্ত মনে হলে অসুস্থ হলে। 

 জ্বর ঠোসার লক্ষণ


প্রথমে আপনার এরকম মনে হবে যে আপনার জ্বর আসছে কিন্তু এটা ভিতরে মনে হয়। এবং দু একদিন পর আপনার ঠোঁটে বা মুখে হওয়া শুরু করবে।আপনার মুখমন্ডল আমি যে কোন স্থানে এটা  জ্বর ঠোসা হতে পারে। এখানে আরেকটি আলামত প্রকাশ পাবে সাধারণভাবে জ্বালাপোড়া করবে শরীর ঝিমঝিম করবে এবং ওই স্থানটা  মাঝেমাঝেই চুলকাবে। 


ছয় থেকে আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে ছোট ছোট ফোসকা বা  ফোসার মতো উঠবে।এগুলোর ভিতর পানি জমাট বা তরল পদার্থ জমাট হয়ে আছে দেখতে পাওয়া যাবে। 


ফুসকুড়ি গুলো নিজে থেকে বা বারবার হাত লাগানোর কারণে ফেটে যাবে তারপরে সেখানে চটা অথবা ঘায়ের মতো মনে হবে।

 

জ্বর ঠোসা ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে অনেকের আছে সহজে সেরে উড়তে চাই না। যতক্ষণ এটা পুরোপুরি হবে সেরে না ওঠে ততক্ষণ ছোঁয়াচেই থাক। সেরে ওঠা না পর্যন্ত ব্যথা বাজানো থাকাটাই স্বাভাবিক। 

 জর ঠোসা ছোঁয়াচে থাকে কত  দিন


যে স্থানে জর ঠসা হয় এবং যে সময় থেকে জ্বালাপোড়া অথবা চুলকানি শুরু হয় সেই শুধু সময় থেকেই এটা ছোঁয়াচে হয়। 

আর একটা বিষয় জেনে থাকা দরকার যতদিন পুরোপুরি ভাবে না ভালো হয় ততদিন ছোঁয়াচে থাকে। বিশেষ করে জোয়ারসুটা কাঁচা অবস্থায় অথবা ফেটে যাওয়া অবস্থায় বেশি ছোঁয়াচে হয়। 


এটা একটা ছোঁয়াচে ভাইরাস এইজন্য যতক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে রোগ সেরে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত সতর্ক থাকা সবচাইতে ভালো। 


বিশেষ করে এই সময়টা আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তারের সাথে কথা বলে এর ক্রিম পাওয়া যায় সেটা ব্যবহার করতে হবে।

জ্বর ঠোসা হলে সতর্কতা

জ্বর  ঠোসা হলে আমাদেরকে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এ সমস্ত সতর্কতা সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। 

চোখ সুরক্ষায় সতর্ক

জ্বর ঠোসার ভাইরাস চোখেও ধরতে পারে এবং এর ফলে চোখ নষ্ট হয়ে অন্ধত্ব আসতে পারে। এজন্য সতর্কতা থাকা আমাদের চোখের উপরে খর্নিয়া নামের একটি আবরণ রয়েছে এটি সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে। আমাদের পৃথিবীতে যতগুলো মানুষ অন্ধ হয় এই  করনিয়ার সমস্যার কারণে। আর সবচাইতে কম কারণ হচ্ছে যে জর সোটার ভাইরাসের কারণে।  জ্বর ঠোসা যদি চোখে চলে যায় তাহলে অন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


  • জ্বর ঠোসা থেকে অন্ধত্ব হওয়া থেকে বেঁচে থাকার চারটি দিক বা চারটি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা ।


  • জ্বর ঠসাই হাত না লাগানো কেননা এটা একটা ভাইরাস এবং মারাত্মক ছোঁয়াচে।

 

  • জরঠোসাভুলক্রমে মনের অজান্তে বা জেনেশুনে হাত লাগালে তৎক্ষণাৎ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। 


  • জ্বর ঠোসা হলে পারুতপক্ষে চোখে হাত না লাগানোই ভালো।


  • আর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করবে। 


আর একটা বিষয় নিয়ে কথা সেটা হলো   জ্বর ঠোসায় হাত পড়লে সে হাত চোখে দিলে যে চোখ নষ্ট হয়ে যাবে এটাও না এটা সতর্কতার জন্য বলা।  এতটা ভয় পাওয়ার কোন দরকার নাই তবে সতর্ক থাকা। তবে এই ইনফেকশন অল্প মানুষের হলেও ধরে যদি অসতর্ক থাকে। 

যৌনাঙ্গে ভাইরাস আক্রান্ত 

কারো  জ্বর ঠোসার সংস্পর্শে যৌনাঙ্গ যদি এসে যাই তাহলে হারপিস হওয়াটাই স্বাভাবিক । জ্বর ঠোসার মত হারপিস ও পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব না। আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যদি নারীদের যৌন অঙ্গে হারপিস হয় তাহলে বাচ্চা প্রসবের সময় নবজাতকের শরীরে ছড়িয়ে পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।


আরো পড়ুন: গ্রহণ হওয়ার কারণ ও ৯ টি ঘরোয়া প্রতিকার 


এ বিষয়টির দিকে খেয়াল রেখে আপনি আপনার সঙ্গিনী সাথে সেক্স করা থেকে বিরত থাকবেন এবং আপনি আপনার সঙ্গিনীর বাই স্ত্রীর যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া আছে বিরত থাকবেন।  যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার  জ্বর ঠোসা পুরোপুরি ভাবে ভালো না হয়ে যায় সে সময় পর্যন্ত অবশ্যই বিরত থাকবো। আপনি যদি বিরত না থাকেন তাহলে আপনার সঙ্গিনীর যৌনাঙ্গে এই ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। 


কারো যদি চুলকানি বা একজিমা থাকে তাহলে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ চামড়ার  ক্ষতস্থান দিয়ে শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে এজন্য সতর্কতা। 




তাছাড়া গর্ভবতী নারী বা ডায়াবেটিসের রোগী কেমোথেরাপি নিচ্ছেন এরকম রোগী যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম বা দুর্বল তারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন কেননা এই ভাইরাস তাদের মধ্যে প্রবেশ করলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। 

জ্বর ঠোসা হলে করণীয়

চলুন তাহলে জেনে নেই জ্বর ঠোসা হলে আমাদের করণীয় কাজ গুলো কি কি সে সম্পর্কে।  সাধারণ জ্বর ঠোসা হলে এমনিতেই সেরে যায় এমন কোন ওষুধপত্র ইত্যাদি লাগেনা আমরা শুনেছি বা দেখেছি জড়সটা হলে সেই স্থানে সরিষার তেল দিলেও কাজ করে। 

এন্টিভাইরাস ক্রিম বা মলম

জ্বর ঠোসা হলে আপনি সাথে সাথে এন্টিভাইরাস ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।  ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ওটাতে খুবই শক্ত হবে এবং ঘষে ঘষে ব্যবহার না করে আলতোভাবে লাগাবেন।  এবং লাগানোর আগে হাত পরিষ্কার করে নিবে সাবান দিয়ে অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন এবং পরে হাত ধুয়ে নেবেন। 

অ্যান্টিভাইরাস মলমের  নাম

 জ্বর ঠোসা এন্টিভাইরাস মলম এর নাম হচ্ছে( ওভার দা কাউন্টার)  এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন যখন আপনার  জ্বর ঠোসা হবে তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। আর একটা ওষুধ রয়েছে যেটার নাম এসআই কভিন এটাও ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।  ওষুধটিতে খুব দ্রুত জ্বর  ঠোসা সেরে যায়। 

জ্বর ঠোসার প্রতিকার

জ্বর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে কেয়ারটিকেলের নিচে উল্লেখ করা হলো জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ। 

জ্বর ঠোসা সারাতে মধু

জ্বর ঠোসা হলে ক্রিম বা  মহলমের পরিবর্তে পিওর মধু ব্যবহার করতে পারে ব্যবহার করলে জ্বর ঠোসা ভালো হয়ে যায়।

 আপনি দিনে পাঁচবার পাঁচ ছয় দিন ব্যবহার করলে সেরে যাবে। অথবা যতদিন  পুরোপুরি ঠিক হতে সময় লাগে ততদিন ব্যবহার করতে পারে খুবই কার্যকর। 

বরফ ব্যবহার করা

 হলে আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন ছোট ছোট বরফের টুকরো আপনি চাইলে খেতেও পারেন আবার যে স্থানের  হয়েছে সেই স্থানে বরফ লাগাতে পারে। এতে করে আপনার অনেক উপকার হবে ব্যথা জ্বালাপোড়া চুলকানি এগুলো দূর হয়।

 নেকরা বা ঠান্ডা পানি সেঁক 

আপনি চাইলে প্রতিদিন ঠান্ডা পানি বা ন্যাকড়া ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেঁক দিতে পারেন প্রতিদিন 15-20 মিনিট পরে ঠান্ডা পানি এবং ন্যাকড়া ভিজিয়ে  সেঁক জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব দূর হয়ে যায়। 

যেটা করা যাবে না

 আপনার জ্বর খোসা হলে আপনি যে সমস্ত জিনিসগুলো করতে পারবেন না।নিজের ব্যবহার করা জিনিস অন্যকে ব্যবহার করতে দিবেন না কাউকে চুমু খাবেন না। অনেক সময় সন্তান সন্ততিকে আদর করে চুমু খেতে যান সেটা থেকে বিরত থাকতে হবে সহবাস করা যাবে না। ভালো না হওয়া পর্যন্ত  আপনার জ্বর ঠোসা ভালো হলে সহবাস করতে পারবেন তুমিও খেতে পারবে।


 আপনার ব্যবহার করা জিনিস কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না যেমন খালা গ্লাস গামছা পরানের কাপড় লুঙ্গি এগুলা কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না।  কাউকে ধরতে বা ছুটে গেলে অবশ্যই আপনি সাবান দিয়ে বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে  নেবেন।


কিছু খাবার আছে যা এই অবস্থায় খাওয়া যাবেনা যেমন টমেটো মালটাকমলা এ সমস্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।এমনকি  জ্বর ঠোসা ভালো না হওয়া পর্যন্ত দাঁত ব্রাশ করা চলবে না কোন পেপসিডেন্ট ব্যবহার করতে পারবে না। এমনি আলতোভাবে দাঁত পরিষ্কার করবেন।  

 শেষ কথা 

এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিচিত বন্ধুবান্ধবের কাছে শেয়ার করুন এবং আমাদেরকে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন আমাদের সাথে থাকবেন  আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদেরকে জানাবেন ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন।।

                                                                                                           


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url