পৃথিবীর 20 টি আজব ও অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে আলোচনা


আজকে আমরা আপনাদেরকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব বিশ্বের 20 টি আজব ও অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে। এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে  জানলে আপনাদের চোখ কপালে উঠে যাবে। এই প্রাণীগুলো সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৃষ্টি এই প্রাণীগুলো যেমন অদ্ভুত আজব ততটাই সুন্দর।  সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে এরকম অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন



সেগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করে।  কেউ জলে বাস করে কেউ জঙ্গলে বাস করে কেউ স্থলে বসবাস করে মোটকথা যার জন্য যে জায়গা যে পরিবেশ উপযোগী সৃষ্টিকর্তা তাকে সেখানে সৃষ্টি করেছে।  চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমরা এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

পোস্ট সূচীপত্র

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আল্লাহতালা তাদের পৃথিবীতে অসংখ্য অগণিত জীবজন্তু প্রাণী সৃষ্টি করেছেন।  আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব  বিশ্বের  20 টি আজও ও অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে। আপনার যদি এ প্রাণীগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলে আপনি 20 টি আজও বহু অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারে। 

পৃথিবীর 20 টি আজব অদ্ভুত প্রাণী

পৃথিবীর স্থানে আনাচে-কানাচে সৃষ্টিকর্তা অসংখ্য  জীবজন্তু প্রাণী সৃষ্টি করেছেন।  যেগুলো সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না আর সবগুলো আমাদের দেখার সৌভাগ্য না হওয়াটাই স্বাভাবিক।  তাই না বলেন আমরা না জানি কতগুলোই প্রাণী দেখেছি। যদি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় যে আমরা কতগুলো প্রাণী দেখেছি বলুন তো কয়টার নাম বলতে পারব খুব অল্প সংখ্যক প্রাণীর নাম আমরা বলতে পারব। গবেষকদের মতে প্রায় নয় মিলিয়ন প্রাণী পৃথিবীর আনাচে-কানে যে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে। 


এই সমস্ত চেহারার প্রাণী যদি আপনি দেখেন তাহলে আপনি টাসকি খেয়ে যাবে এবং ভাববেন যে এরকম চেহারার প্রাণীর পৃথিবীতে বসবাস করে। তাহলে চলুন মনযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়ি কেননা সময় এসে গেছে আপনাদেরকে জানানোর পৃথিবীর প্রতিটি আজব ও অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে।   এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে আপনি জানলে টাস্কি খেয়ে যাবেন আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।  চলুন তাহলে দেরি না করে আলোচনা শুরু করে । 

আয়ে- আয়ে

এই প্রাণীটি সম্পর্কে বলার আগে আমি এই প্রাণীর ব্যাপারে মানুষের যে কুসংস্কার চিন্তাভাবনা আছে সে সম্পর্কে বলতে চাচ্ছে।  এই প্রাণীটিকে মানুষ ক্ষতির কারণ মনে করে। এবং এই প্রাণীকে হাতের নাগালে পেলে মেরে ফেলার নিয়ম আছে।

যার কারণে এই প্রাণীটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এবং বিলুপ্তির পথে। আয় আয় তাদের পরিবারের মধ্যে একমাত্র প্রাণী যারা পৃথিবীতে টিকে আছে। এই প্রাণী পৃথিবীর অন্যতম স্তন্যপায়ী প্রাণী এদেরকে নিশাচর বলা যায়। তবে এই প্রাণী এখন বিলুপ্তির দিকে । এক কথায় বলা যেতে পারে এই প্রাণীটি হারিয়ে গেছে।

ব্লু ফিশ

এ মাছ দেখা যায় অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড ও তাসমানিয়ার উপকূলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে। এ মাসটি দেখতে কুৎসিত এরা দেখতে জেলা টিনের একটি দল মত। নিজের শরীরে জেলাটিনের কোষ সমৃদ্ধ এতটাই হালকা যে তারা পানির সাথে মিশে যায় এই জন্য এদের সাঁতার কাটতে কোনো অসুবিধা হয়। এ বাসটি সুশান্ত মহাসাগরে খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। 

কাটাযুক্ত ড্রাগন

এই প্রাণীটির আরো পরিচয় আছে এ প্রাণীটিকে কাটাযুক্ত গিরগিটি বলা হয় আবার কাটাযুক্ত শয়তানও বলা হয়। এই প্রাণীটি অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে দেখা যায়। এই প্রাণীটি রং পরিবর্তন করতে পারে তবে এরা মরে ভূমিতে থাকার কারণে এদের গায়ের রং বাদামী রঙের হয়। এই প্রাণীটির সারা শরীরে কাঁটাযুক্ত লম্বায় আট ইঞ্চি হয় প্রাণীটির সারা শরীরে কাঁটাযুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা  পাই। কাটাযুক্ত থাকার কারণে বিশেষ করে শিকারি প্রাণীগুলো তাদের কাছে ভিড়তে পারে না।  তাদের আরেকটি উপকারী দিক হচ্ছে তাদের শরীরের যেকোনো অঙ্গ দিয়ে তারা পানি শুষে নিতে পারে এই জন্য তারা মরুভূমিতে টিকে থাকতে পারে।

নেকড়ে মাছ

এ মাছটির নাম যেমন তেমনি সে দেখতে ভয়ংকর। তার মুখের ভেতরে সুচালো দাঁত এবং ভয়ংকার চেহারা দেখে যে কেউ ভয় পেতে পারে এটা স্বাভাবিক। এই মাছটি লম্বাই সাড়ে তিন ফিট হয় এবং এর ওজন প্রায় ৮০-৯০ কেজি হয়ে থাকে। এই বিশাল দানব আকৃতি মাছ পাওয়া যায় সুরি নামের উপকূলীয়  একটি অঞ্চলে। ছোট বিভিন্ন প্রাণী এবং মাছ শিকার করে এরা খায় এগুলো এদের প্রধান খাবার। 

পাণ্ডা পিপরা

এই পিঁপড়ার পান্ডা নামের পেছনে কারণ হচ্ছে এই পিপড়ার গায়ের রং পাণ্ডার  মত সাদা এবং কালো এই দুই রঙের সম্মিলিত দেখা যায়। এদের কামড় খুবই মারাত্মক হয় এরা খুবই বিষাক্ত হয়। এদের কামড়ে বিশাল আকৃতির গরু ও মারা যায়।

নগ্ন ছুঁচো

এই প্রাণীটি আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকায় জুড়ে পাওয়া যায় এই প্রাণীটির সামনে দুইটি লম্বা দাঁত আছে যেটা বেরিয়ে থাকে। এরা যখন মাটির নিচ দিয়ে চলে তখন তারা এই দুই দাঁতের সাহায্যে মাটি কাটতে কাটতে চলে।  এবং আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো যে তারা যখন দাঁত দিয়ে মাটি কাটে তাদের মুখে মাটি ঢুকে না এই দাঁতের কারণে।  এই দাঁত তাদের মুখে মাটি ঢুকতে দেয় না। নগ্ন ছুঁচোর আরেকটি নাম আছে এগুলোকে সেন্ড পাপী হিসেবে ডাকা হয়। এদের শরীরে কিছু ক্ষমতা রয়েছে যার কারণে তাদের ক্যান্সার হয় না এবং বিভিন্ন ব্যাথা কষ্ট সহ্য করতে পারে । আর একটা বৈশিষ্ট্য হলো কম অক্সিজেন এরা বেঁচে  থাকার ক্ষমতা রয়েছে। 

ডুগং

এ প্রাণীটি পানির তলদেশে বসবাস করে। তাছাড়া এই মাছটি তৄণ ভোজি এই প্রাণীটি পৃথিবীতে একমাত্র টিকে আছে।  তবে মাংস ও তেলের কারণে অতিরিক্ত শিকার বড় হয় যার কারণে এই প্রাণীটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এই প্রাণীটি দেখতে খুবই সুন্দর এবং একেবারে আলাদা। 

নীল ড্রাগন 

এই প্রাণীটি এক থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হয় এর গায়ে বিষাক্ত কাটা যুক্ত থাকে ।  এই প্রাণীগুলো দেখতে ড্রাগনের মতো আটলান্টিক অধিবাসীরা যখন এটি ধরতে যায় তখন ক্ষতির সম্মুখন হয় কেননা এর শরীরে বিষাক্ত কাটা নিযুক্ত থাকে। 

এদের শরীরে যে কাটা থাকে সে কাঁটা আপনার হাতে বিঁধলে অসহ্যকর যন্ত্রণা শুরু হয়। 

বক্সার কাকড়া

এই কাকড়া গুলো লম্বায় কয়েক সেন্টিমিটার হয় এবং এদের কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন   পম পম কাঁকড়া বক্সিং কাঁকড়া বক্সার কাঁকড়া। এদের ১০ টি প্রজাতির মধ্যে এরা একটি ছোট প্রজাতি। । এরা সমুদ্রে বসবাস করে।  

সিংহ কিসের জেলিফিশ

জেলিফিস দের মধ্যে এই ফিস সবচাইতে বড় এর বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন হেয়ার জেলিফিট জায়ান্ট জেলিফিশ। 

তবে এই জেলিফিশটি হেয়ার জেলিফিশ নামে বেশি পরিচিত। এই ফিস গুলো পাওয়া যায় সুমেরু হ্যাটট্রিক ও উত্তর আটলান্টিকের পাশাপাশি ঠান্ডা শীতল পানিতে এদের বিচরণ। এদের আকৃতি অনেক বড় হয় গবেষকদের মতে গবেষণা করে ১৮৭০ সালে এই জেলিফিশ পাওয়া যায় যা সাত ফুট লম্বা ছিল এবং এর সুরগুলো ১২০ ফুট লম্বা ছিল। 

গোলাপি আরমাডিলো

 এটা আবিষ্কার হয় আর্জেন্টিনায়১৮২৫ সালের দিকে এটা ছোট আকৃতিরপ্রাণী ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি হয়পিঠের আবরণটি অনেক শক্ত হয় এদের খাবার ছোট পিপড়া।

ম্যান্টিস চিংড়ি

পৃথিবীতে এই চিহ্নগুলো প্রায় ৪০০ প্রজাতির রয়েছেএই চিংড়িগুলো সমুদ্রের আনাচে-কানাচেঘুরাঘুরি করে। শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এদের শক্ত এবং  সূচালো আকৃতির দার রয়েছে যেটা দিয়ে তারা শত্রুর মোকাবেলা করে। এগুলো এত শক্ত হয় যে এই সূচালো গার দিয়ে আঘাত করলে অ্যাকোরিয়ামের কাছে ভেঙে যেতে পারে।   

লাল ঠোঁট বাট ফিশ 

এটি যদিও মাছ কিন্তু সাঁতার কাটতে অভ্যস্ত না আমেরিকার একটি উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসী সমুদ্রের তলদেশে ঘোরাফেরা করে চিংড়িসহ বিভিন্ন ছোট মাছকে বেঁচে থাক। লাল ঠোঁট দেখতে রাগীর মত কিন্তু মোটেও রাগী স্বভাবের না 

পাউন্ড ক্যাঙ্গলিন

এই প্রাণীটি সারা দেহে মাসের মাছের মত আবৃত মূলত এটি আত্মরক্ষার জন্য। যখন কোন বিপদ আসে বা কোন হিংস্র প্রাণী তাদেরকে আক্রমণ করতে আসে তখন তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয় বলের মতো গোলাকার হয়ে যায় যার ফলে কোন হিংস প্রাণী এদেরকে আক্রমণ করতে পারে না। এটা স্বাভাবিকভাবে উপায়ে চলাফেরা করে সুন্দরস্বাভাবিক খাবার খাই  লেজ আছে । এদেরকে বুনো  আফ্রিকায় দেখতে পাওয়া যায়। 

স্কোটোপ্লেনস 

সাধারণত এই প্রাণীটি সমুদ্রের তলদেশে থাকে এর বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন সমুদ্র শূকর সী পীগ এদের চেহারা সঙ্গে শূকরের একটা মিল পাওয়া যায় একটা মিল পাওয়া যায়।ভারত এবং আটলান্টিক মহাসাগরের দেখা যায় এরা খাবার খুঁজে নেয় কাদা  থেকে। 

গবলিন হাঙ্গর 

এই প্রাণীটির চেহারা অন্তরে কম্পন সৃষ্টি করার মতো সাক্ষাৎ যেন রাক্ষস শয়তানের মত ভয়ংকর চেহারা দাঁতগুলো সূচালো আকৃত লম্বা।  এই হাঙরটি ১০ থেকে ১৩ ফুট লম্বা হয় তবে যতটা দেখতে ভয়ংকর ততটা  আক্রমণ স্বভাবই না

এরা সমুদ্রের গভীর অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করে। 

বাস্কেট স্টার

এই প্রাণীগুলো দেখতে অদ্ভুত সমুদ্রে বসবাস করে।   এগুলো দেখতে গাছের  শিকড়ের  মতো ছড়ানো ছিটানো থাকে।

ফ্লাইং গানাড

এই প্রাণীটির বৈশিষ্ট্য হলো এদের ডানা রয়েছে পাখির মত একজোড়া কিন্তু উঠতে পারে না এটা সমুদ্রের তলদেশে থাকে।

দেখতে খুব অদ্ভুত বিচিত্র এবং খুবই সুন্দর। 

নর্দান স্টারগেজার

সমুদ্রের তলে দেশে থাকা এই প্রাণীটি দেখতে অদ্ভুত এর দাত গুলো সূচালোএই প্রাণীটি বালুর মধ্যে ঘাটতি মেরে থাকে। এর চোখ গুলো গোলমার্বেলের মতো বেরিয়ে থাকে।

সি বাটারফ্লাই 

এই প্রাণীটি দেখতে একেবারে প্রজাপতির মত এই প্রাণী দুইটি ডানা রয়েছে। দেখতে অদ্ভুত সুন্দর এই প্রাণীর একজন ডানা রয়েছে তা প্রজাপতি মন।

শেষ কথা

আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পৃথিবীর 20টি অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে  আপনারা আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করবে করার পর যে বিষয়গুলো ভালো লাগলো অবশ্যই বিষয়গুলো বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।


লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে মাফ করবেন আবারো ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url