কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ করার ১৫ টি দিকনির্দেশনা সম্পর্কে
আমরা প্রত্যেকেই ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি।এমন কোন মানুষ নাই যে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে না তবে ভ্রমণটা যদি দেশের বাইরে হয় তাহলে তো এর চাইতে ভালো কিছু হয় না। বিদেশ ভ্রমণ আমরা প্রত্যেকেই চাই। আমরা যারা বিদেশ ভ্রমণ করি তারা তো বারবার যেতে চাই। আর যারা বিদেশ ভ্রমণ করিনি তাদের বিদেশ যাওয়ার আগমনটা অনেক বেশি
থাকে। আজকে আমরা আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে ১৫ টি দিকনির্দেশনা তার সাথে সাথে জানাবো কোন দেশগুলোতে যেতে খরচ কম সম্পর্কে। জানতে হলে আপনারা আমাদের সাথে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবে তাহলে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃকম খরচে বিদেশ ভ্রমণ করার ১৫ টি দিকনির্দেশনা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদেরকে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ করার ১৫টি দিকনির্দেশনা এর সাথে সাথে জানাবো দেশগুলোতে কম খরচে ভ্রমণ করা যায় সে সম্পর্কে। শুনুন তাহলে দেরি না করে আমরা মূল আলোচনায় চলে যাই।
কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের১৫ টি জীবনির্দেশনা
আসুন আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের পনেরোটি দিকনির্দেশনা সম্পর্কে। আমরা ভ্রমণ করার আগেই চিন্তা করি যে আমি বিদেশ ভ্রমণ করব সেজন্য আমার কেমন খরচ হবে কত টাকা লাগবে সেখানে আমি কয়দিন থাকব খাবো সে অনুযায়ী আমার কত টাকা খরচ হতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তা করি বিভিন্ন খরচের হিসাব বাতিল করে থাকি। শুধু বিদেশ ভ্রমণ করলেই হবে না কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন এখানে আপনাকে বুদ্ধি খরচ করতে হবে।
আপনি যদি বুদ্ধ খরচ করেন চিন্তা ভাবনা করে কাজ করেন এবং আগেভাগেই কম খরচ করার জন্য কিছু দিকনির্দেশনা ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কম খনিতে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চলেছি কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের ১৫ টি দিক নির্দেশনা সম্পর্কে। এই বিষয়গুলো আপনি জানলে অবশ্যই উপকৃত হবে আপনার ভ্রমণ অনেকটা সাশ্রয় হবে আপনি ভ্রমণ করে আনন্দ পাবেন। এর সাথে সাথে আমরা এই আর্টিকেল আপনাদেরকে জানাবো কোন দেশগুলোতে ভ্রমণ করলে খরচ কম লাগে।
হোটেল বা বিমানের অগ্রিম টিকিট বুকিং
চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জেনে নিই অগ্রিম হোটেল বা বিমানের টিকিট বুকিং সম্পর্কে কিছু কথা। ভ্রমণ করার জন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আপনি ভ্রমণে যাওয়ার অন্তত এক মাস আগেই টিকিট বুকিং করে নিতে হবে। যদি আপনি দেরি করেন তাহলে আপনি টিকিট নাও পেতে পারেন পেলে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হতে পারে যদি টিকিট বেশি দাম দিয়ে কেনা লাগে তাহলে তো তাহলে তো কম খরচে ভ্রমণ হলো না। আপনাকে আগেভাগেই হোটেল বুকিং করতে হবে ট্রেনের টিকিট অথবা বাসের টিকিট অথবা বিমানের টিকিট এগুলো অগ্রিম কেটে রাখতে হবে। ভ্রমণ সাশ্রয় করার জন্য যত আগে টিকিট বুকিং করে রাখবেন ততই খরচ কমবে। খরচ কমানোর জন্য অগ্রিম টিকিট কাটা কোনো বিকল্প।
আর একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই সেটা হচ্ছে আপনি যে সমস্ত জায়গা গুলো ঘুরতে যাবেন বা যে দেশে ঘুরতে যাবেন সেই জায়গার হোটেলগুলোতে অনেক সময় কম খরচের জন্য অফার দিয়ে থাকে সেগুলো খোঁজ রাখতে হবে। এজন্য আপনাকে অল্প করেছি এ সমস্ত হোটেলের বুকিং আগে করার জন্য বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিতে হবে যে সময় আপনি যাচ্ছেন সেই সময় এই অফার গুলো আছে কিনা। আবার আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে এই সমস্ত অফারের সময় গুলো রিজার্ভ থাকে না। অর্থাৎ আপনি কোন কারণে যদি আপনার ভ্রমণ স্থানে যেতে না পারেন বা দেরি হয় তাহলে আপনাকে অগ্রিম বুকিং দেওয়ার টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।
স্থায়ী ভাষা শিখে রাখা
তুলুন আমরা ভ্রমণের জন্য স্থায়ী ভাষা শিখে রাখা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন। মনে রাখবে না তুই যেই দেশে বাজে স্থানে ভ্রমণ করার জন্য যাবেন সেখানকার কিছু স্থানীয় ভাষা শিখে রাখবেন। এটা ভ্রমণের জন্য অনেক বেনিফিট। কেননা ভ্রমণ করতে গেলে ভাষা অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি কিছু ভাষা যেই স্থানে যাবেন সেখানকার শিখে রাখেন তাহলে সেখানকার মানুষদেরকে প্রভাবিত করতে পারবেন এবং আপনার জন্য অনেক উপকারী হয়। এজন্য ভাষাগুলো ইউটিউব ফেসবুক বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে শিখে রাখবেন।
অনেক দেশ আছে যেগুলোতে শুধু ইংলিশ ভাষা জানলেই হবে না সেখানকার ভাষাও জানতে হবে কেননা সে সমস্ত জায়গায় ইংরেজি ভাষা প্রচলন কম থাকে। আপনি যদি সেখানকার প্রয়োজনীয় কিছু ভাষা শিখে রাখেন তাহলে কম খরচে ভ্রমণ করার জন্য ভাষা শিক্ষাটা আপনার জন্য অনেক বড় বেনিফিট হবে।
ডুয়েল কারেন্সি পেট কার্ড
দেশের বাইরে ভ্রমণ করার জন্য আপনার যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন এটার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডুয়েল কারেন্সি পেট কার্ড। যদি এই পেট কার্ড আপনার কাছে থাকে ।ভ্রমণ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড এটা থাকা আপনার জন্য সবচাইতে বড় সুবিধা জন। আপনার যদি ভ্যালিড পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনি এই কাজটি করে নিতে পারবেন। এইজন্য আপনি বিভিন্ন ব্যাংকে খোঁজখবর নিতে পারেন। সবচাইতে সুবিধা জনক হবে আপনার জন্য যে ব্যাংকটি সেটি হল ইনস্ট্যান্ট ব্যাংক লিমিটেড। আপনি ব্যাংকে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ভ্রমণের সময় যদি আপনার কাছে ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে সকল খরচের বিল পেট করতে পারবেন ।বিভিন্ন শপিং এ গিয়ে কেনাকাটা করলে ক্রেডিট কার্ড থেকে কে করতে পারবেন হোটেল বুকিং কাঠ থেকে পেয়ে করতে পারবেন ট্রেনের টিকিট বা অন্যান্য যানবাহনের টিকিট পে করতে পারবে। মোটকথা আপনার কাছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড থাকলে ঝামেলা মুক্ত থাকুন।
ভ্রমণের জন্য পূর্ব পরিকল্পনা
ভ্রমণের জন্য আপনাকে আগে থেকেই যে সমস্ত পরিকল্পনা গুলো করতে হবে সে সম্পর্কে নিচে উল্লেখ করা হলো। আপনারা যারা এই বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বে। আপনাকে প্রথমে জানতে হবে সেই জায়গার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সম্পর্কে । সপ্তাহে কত দিন খোলা থাকে অর্থাৎ আপনি যে জায়গায় যাইবেন সেখানকার ভ্রমণ স্পটগুলো কোন দিন খোলা থাকে কোন দিন বন্ধ থাকে কয়টা থেকে কয়টা খোলা থাকে কয়টার দিকে বন্ধ হয় এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
খোঁজ খবর রাখবেন অনেক দেশ আছে যেগুলোতে গেলে ভ্রমণের স্থানগুলো টিকিট অগ্রিম অনলাইনে কাটলে বা বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট অগ্রিম অনলাইনে কাটলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। অনেক দেশ এরকম আছে যারা আমাদের বাংলাদেশীদের ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি সেখানকার সিম কার্ডগুলো কিছু ডিসকাউন্টে কিনতে পারবেন এই ডিসকাউন্ট টা আমাদের বাংলাদেশীদের কে দেয়। যেমন ইতালিও দিয়ে থাকে সিম কার্ড কেনার জন্য ১০ থেকে ১৫%। আমরা যদি ভ্রমণ করার জন্য শুরুতেই সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তাহলে আমাদের ভ্রমণটা ঝামেলা মুক্ত প্রাণবন্ত সুন্দর হয়ে হবে।
অস্থায়ী কারেন্সি পরিকল্পনা
আসুন আমরা স্থায়ী কারেন্সি সম্পর্কে এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য আমরা সাধারণত টাকার পরিবর্তে ব্যবহার করে থাকি ডলার অথবা ইউরো। আরে ইউরোপ কনভার্ট করে থাকি কারেন্সিতে। আপনি যদি কোন দেশে ভ্রমণ করতে যান ডলার ইউরোর পাশাপাশি যদি আপনার কাছে সেই দেশের কারেন্সি থেকে থাকে তাহলে এটা খুবই কার্যকরী হবে। আপনার কাছে যদি আগে থেকেই যে দেশে ভ্রমণে যাবেন সেই দেশের কারেন্সি থাকে তাহলে এটা অনেক উপকারে আসবে বিষ এদেশে এয়ারপোর্টে নেমে যদি আপনার প্রয়োজনে কোন জিনিস কেনা কিনতে হয়। তাহলে আপনি সহজেই কিনতে পারবেন। আপনার ভ্রমণ কম খরচে এবং সাশ্রয়ী করতে এটা বড় একটা দিক।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভ্রমণের জন্য
আপনি যদি কম খরচে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার ভ্রমণের খরচ কমে আসবে। আপনি যে দেশে ভ্রমণ করতে যান না কেন যাওয়ার আগে আপনি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অবশ্যই ব্যবহার। অনেক দেশে আগুন্ত ভ্রমণকারীদের জন্য ট্রাভেল পাস থাকে এগুলো সংগ্রহ করবেন। এই পাসগুলো সংগ্রহ করলে ট্রাভেলস এর জন্য কিছু ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন । এখানে আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন সেটা হল যে সরাসরি ট্রাভেলস ভাড়া না করে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে রাইট শেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করবেন। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম রাইট শেয়ার অ্যাপ রয়েছে এগুলো একটু খোঁজাখুঁজি করে ডাউনলোড করে।
ডিসকাউন্ট খোঁজ করা
বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে খরচ কমানোর জন্য আপনাকে চোখ রাখতে হবে বিভিন্ন ডিসকাউন্টের উপরে। এদেশের মাটিতে ঘোরাফেরা করার জন্য অনেক দর্শনীয় স্থান আছে যেগুলোতে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। সেই ডিসকাউন্টের দিকে আমাদেরকে নজর রাখতে হবে। ডিসকাউন্টের পাশাপাশি অনেক সময় ফ্রিতেও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে এগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাহলে ভ্রমণের খরচ অনেকটা কমে যাবে। অনেক শহর আছে যেগুলোতে ট্রাভেলস এর জন্য কোন খরচ দেওয়া লাগে না এজন্য এগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো। কম খরচে ভ্রমণের জন্য এটা আপনার জন্য অনেক সাশ্রয় ও আরামদায়ক হবে।
ছোট গ্রুপ টুর করা
পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেই ছোট গ্রুপ নিয়ে টুর করলে কি সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে। দেশের বাইরে ট্যুর করলে সব সময় ছোট গ্রুপ নিয়ে করার চেষ্টা করবেন তিনজন অথবা চারজন নিয়ে টুর করার চেষ্টা করবেন। এই ভাবে ট্যুর করলে অনেক ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা যায়। ছোট গ্রুপ করে একসাথে ঘুরলে থাকা খাওয়া ইত্যাদি সমস্ত বিষয়গুলো ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। সব দেশেই স্থানীয় বখাটেদের সমস্যা থাকে আমার ছোট গ্রুপ থাকলে সেই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। ছোট গ্রুপ থাকলে নিরাপত্তার সাথে ট্যুর করা যায়।
আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা
আপনি যে দেশে যাবেন সে দেশের আবহাওয়া সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনাকে ওই দেশের ও হওয়া জেনে ওই ধরনের পোশাক নিতে হবে তাহলে আপনার ভ্রমণ অনেক ভালো হবে নয়তোবা বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন অসুস্থ হতে পারেন। আর সেটাকের আবহাওয়া সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া ভালো যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার ভ্রমণের পড়ে ইফেক্ট করতে পার।
পানি খাওয়ার বোতল
আপনি ভ্রমণের সময় সাথে খালি একটি পানি খাওয়ার বোতল রাখতে পারে। আপনাকে অনেক উপকারী দেবে। অনেক দেশ আছে যেখানে বিশুদ্ধ পানি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ভ্রমণের সময় চলতে ফিরতে যদি আপনার পানি ফুরিয়ে যায় তাহলে সে খালি বোতলটা আপনি চাইলে রিফিল করে নিতে পারবেন। আপনি সব জায়গায়ই গোসলটি ইউজ করতে পারবেন কিন্তু এয়ারপোর্টে নাই এয়ারপোর্টে যখন আপনার লাগেজ দেখাদেখি করবেগ্রেশন করবে তখন আপনি বোতলটি খালি রাখবেন যদি বোতল কি ভর্তি রাখেন বা পানি রাখেন তাহলে জটিলতায় পড়তে পারেন। যদি খুব দরকারই পড়ে তাহলে বিমানে পানি নিয়ে নিতে পারবেন কোন অসুবিধা নাই।
ট্রাভেল অ্যাপ গাইড
আপনার ভ্রমণকে সহজ করার জন্য এখন অনেক ট্রাভেল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট পাওয়া যাচ্ছে। আপনি যদি অ্যাপ গুলো বা ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে ভ্রমণের তারিখ এবং গন্তব্য স্থল লিখে দেন তাহলে তারা আপনাকে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ভ্রমণের গাইডলাইন তৈরি করে দেবে। কম খরচে ভ্রমণের জন্য গাইডলাইন গুলোর আপনার জন্য অনেক সুবিধা হবে এবং আপনার ভ্রমন কারো সহজ সুন্দর করে তুলবে।
জিপিএস অফলাইনে পথ দেখানো
চলুন আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন জিপিএস অফলাইনে পথ দেখানো সম্পর্কে। বিদেশ ভ্রমণের জন্য জিপিএস আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে।। আপনাকে করতে হবে কি ভ্রমণ করার আগে একটি গুগল ম্যাপ আপনার ফোনে ডাউনলোড করে নিবেন। ডিপিএস এর বড় একটা সুবিধা হল যে ইন্টারনেট যদি নাও থাকে তাহলে আপনি জিপিএস ব্যবহার করেন আপনি আপনার গন্তব্য স্থলে যেতে পারবেন।। যে দেশে ভ্রমণের জন্য যাবেন সে দেশের স্থায়ী লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনি ভাষা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ব্যাকআপ
বিদেশ ভ্রমণের জন্য যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ব্যাকআপ হিসেবে আপনাকে রাখতে হবে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য যে সমস্ত ফাইলগুলো আপনার কাছে রাখতে হবে। আপনার মোবাইলে কিছু ডাউনলোড করতে হবে যেমন google ড্রাইভ ক্রাউড স্টোরেজ ড্রপবক্স এগুলো আপনি যেকোন প্রয়োজনের ব্যবহার করতে পারবেন পাসপোর্ট ভিসা ছবি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো সাথে রাখতে ভুলবেন না। একাধিক ফটোকপি করে নিবেন ।ভ্রমণের জন্য ব্যাকআপ হিসেবে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস আপনার সাথে রাখতে হবে।
প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখা
ভ্রমণের সময় আপনাকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র আপনার সাথে রাখতে হবে। আপনি যদি অসুস্থ থাকেন বা আপনার কোন স্থায়ী রোগ থেকে থাকে যেটার জন্য আপনি প্রতিদিন ওষুধ খেয়ে থাকেন। সেও সত্য নিতে হবে পাশাপাশি হয়তো আপনি যে জায়গায় ভ্রমণে যাবেন সেখানকার আবহাওয়া আপনার শুট না করার কারণে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ হতে পারে সেটার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে নিতে পারেন। যেমন জ্বর সর্দি কাশি পেট ব্যথা গ্যাসের ওষুধ এগুলো অগ্রিম কিনে সাথে রাখতে পারেন। সাথে মলম ব্যান্ডেজ শ্যাভলনের বোতল এগুলো রাখতে পারেন। কেননা ভ্রমন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসা করে তাহলে তো খরচ বেশি হতে পারে এজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া।
ইলেকট্রিক ডিভাইস সাথে নেওয়া
আপনি ভ্রমণ অবস্থায় ইলেকট্রিক ডিভাইস যদি সাথে নেন সেগুলোকে সচল রাখার জন্য আপনাকে কি করতে হবে যার যার সাথে নিয়ে নিতে হয়। সাথে আপনি চাইলে পাওয়ার ব্যাংকও নিতে পারেন। এগুলো সাথে নিয়ে রাখলে যদি আপনার ইলেকট্রিক ডিভাইস গুলোর যেমন মোবাইল ল্যাপটপ ক্যামেরা চার্জ না থাকে তাহলে চার্জার দিয়ে অথবা পাওয়ার ব্যাংক এর সাহায্যে চার্জ দিয়ে এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
কম খরচে বিদেশ ভ্রমণ
চলুন তাহলে আজকের এই পোস্ট থেকে আমরা জেনে নেই কম খরচে দেব বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কে কিছু কথা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কম খরচে কোন দেশগুলোতে ভ্রমণ করা যায় সেই সম্পর্কে।। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করে। কম খরচে যে দশটি দেশ ভ্রমণ করা যায় সে সম্পর্কে নিজে উল্লেখ করা হোক।
- নেপাল
- ভুটান
- শ্রীলংকা
- মালয়েশিয়া
- থাইল্যান্ড
- ইন্দোনেশিয়া
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ওমান- মরক্কো
- সিঙ্গাপুর
- ফিলিপাইন
শেষ কথা
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের১৫ টি কার্যকরী বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি বিষয়গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনকে শেয়ার করবেন নিজে বেশি বেশি ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন ভালো থাকবেন। আর একটা বিষয় মাথায় রাখবেন যখন আপনি বাইরের দেশে ভ্রমণ করবেন। আপনার চলাফেরা ওঠাবসা যাতে সে দেশের মানুষের পরে ভালো প্রভাব ফেলে নচেৎ নিজের মাতৃভূমির অসম্মান হবে বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখবে ধন্যবাদ।
লিখার মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকলে মাফ করবেন সবাই ভাল থাকবেন পরিচিত বন্ধুবান্ধবের কাছে শেয়ার করবেন ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url